Wednesday 16 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২ জুন বাজেট ঘোষণা
কমছে বাজেটের আকার ও এডিপি, বাড়ছে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৩ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০২

ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ হ্রাস এবং বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার কমছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের এ আকার চূড়ান্ত হলে স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বাজেটের আকার কমবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এতদিন জুনের প্রথম বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার রেওয়াজ থাকলেও এবার ২ জুন সোমবার বাজেট ঘোষণা করা হবে। সংসদ কার্যকর না থাকায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী বাজেট ঘোষণার পরদিন বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থ উপষ্টোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার-সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিল ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই বাজেট ঘোষণা করা হবে। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকে। এ কারণে ২ জুন ঘোষণা করা হবে নতুন বাজেট।

সূত্রগুলো জানায়, রাজস্ব আহরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়া এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান কমে যাওয়ার কারণে আগামী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) এর আকার কমছে। এবার এডিপি’র আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর এখাতে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

সূত্রমতে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো বাতিল করায় আগামী অর্থবছর প্রকল্পের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে নতুন অর্থবছর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় কমবে। বরাদ্দের দিক থেকে আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

তবে এডিপি’র আকার কমলেও পরিচালন বা অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের ব্যয় ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।

এদিকে বাজেট ও এডিপি’র আকার কমলেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে। আগামী বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর আওতাধীন ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। চলতি বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই এটি কমিয়ে সংশোধন করে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

অন্যান্যের মধ্যে নতুন অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে অর্থ বিভাগ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছিল। অবশ্য সংশোধিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে অর্থবিভাগ।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর