ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫৩ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩০
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, ‘মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখনো মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গার্ড অব অনার শেষে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এই সরকারই সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না। ইতিহাস ইতিহাসই। এই সরকারের শপথগ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সবার স্মরণ রাখা দরকার।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, তারা প্রতিনিয়ত বিব্রতবোধ করছে। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে এটি গ্লানিকর। তিনি বলেন, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে আদালতে মামলা থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। এ বিষয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০-এর ওপর আদালতে মামলা রয়েছে। এ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
মুজিবনগর আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো স্থাপনা আমি ঘুরে দেখবো। দ্রুত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। ভুল কিছু এখানে আরোপিত করা হবে না, সত্যিকারের ইতিহাস মোচনও করা হবে না।
পরে উপদেষ্টা মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স ও আম্রকাননের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার হুসাইন শওকত, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গার্ড অফ অনার প্রদানকারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা দুজন আনসার সদস্য সিরাজ উদ্দিন ও আজিমউদ্দিনকে উপহার ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে