১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে পোল্ট্রি খামারিরা
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:১৭ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৩
ঢাকা: পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্য নিয়ন্ত্রন নীতিমালা প্রণয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড দেওয়া, ডিম-মুরগি রফতানির সুযোগ সৃষ্টি এবং পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোশিয়েশন-বিপিএ। দাবি না মানা হলে ১ মে থেকে দেশের সকল ডিম ও মুরগি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধানের কথা জানিয়েছে বিপিএ (বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোশিয়েশন)।
বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হালদার উল্লেখ করেছেন, দেশজুড়ে ডিম ও মুরগি খামারিদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। গেল দুই মাসে তারা প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের পোল্ট্রি খাত ধ্বংসের মুখে পড়লেও সরকার দেখছেনা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রমজান ও ঈদ মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান দিয়ে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করছেন। প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা করে লোকসান দিয়ে এক মাসে লোকসান হয়েছে প্রায় ৯শ কোটি টাকা। এছাড়া দৈনিক ৪ কোটি ডিমের মধ্যে প্রান্তিক খামারিরা মোট ৩ কোটি ডিম উৎপাদন করেন। এই উৎপাদনে প্রতিটা ডিমে ২ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে গত দুই মাসে ডিমের ক্ষেত্রে লোকসানের পরিমান ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো নিরব রয়েছে। আর সে সুযোগে কিছু কর্পোরেট কোম্পানি পোল্ট্রি শিল্প দখলে নেমেছে। তারা শুধু ফিড, বাচ্চা ও ওসুধ নয় এখ ডিম মুরগির বাজারো নিয়ন্ত্রন করছে। এসব কোম্পানি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক খামারিদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর দাসত্বে ঠেলে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে ১০ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। সেগুলো হলো-
- পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রন নীতিমালা ও নির্ধারন কমিটি গঠণ করা।
- কন্ট্রাক্ট ফার্মি নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করে এটি নিষিদ্ধ করা।
- পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করা।
- ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য সরকারের পূর্নবাসন প্যাকেজের ব্যবস্থা করা।
- খামারিদের রেজিষ্ট্রেশন ও আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা।
- কোম্পানিকে কেবল কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখা।
- কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও কোম্পানির খামার নিষিদ্ধ করা।
- কেজি ভিত্তিক ডিম ও মুরগি বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন করা।
- ডিম ও মুরগির রফতানির সুযোগ বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
- পূর্নাঙ্গ পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
এসকল দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলা হয় বিবৃতিতে।
সারাবাংলা/ জেআর/এনজে