‘শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচনের কোনো সময়ই ঠিক থাকে কি না আল্লাহ জানেন’
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৩ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৩
ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচন হওয়ার আগে তিনটি শর্ত পূরণ হতে হবে। শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচনের জন্য মার্চ-ফেব্রুয়ারি কোনো সময়ই ঠিক থাকে কি না আল্লাহ ভালো জানেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘অনেক ত্যাগ ও চেষ্টার বিনিময়ে যে পরিবেশ এসেছে, সেই পরিবেশের প্রধান দাবি হচ্ছে দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্য মৌলিক সংস্কার। আমরা তা সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছি। আমরা বলেছি- এসব পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচন হলে তা গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি গঠন হবে না। পরিবর্তন না হলে অতীতে দেশ জাতি ও বিশ্বের কাছে যে অগ্রহণযোগ্য নিবার্চন হয়েছে, এ নির্বাচনও তাহলে পূর্বের মতো খারাপ হবে। আমরা সেই নির্বাচন চাই না। হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে, আহত হওয়ার বিনিময়ে, রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তন এসেছে; সেখানে অবশ্যই সংস্কার সাধন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমত রাজনৈতিক দলগুলো যত তারাতারি সংস্কার সহযোগিতা করবে তত দ্রুত নির্বাচন হবে। সংস্কারের প্রধান অংশীজন হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এতে যদি তারা সহযোগিতা করে তাহলে দ্রুত নির্বাচনে পরিবেশ হবে। তারা যদি সহযোগিতা না করে যদি গতানুগতিক নির্বাচন হয় তাহলে আগের মতো নির্বাচন হবে। যার দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির জন্য দায়ি হত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। যাতে জাতির আস্থা ফিরে আসে। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে কি না সেটি সময় বলে দিবে।’
‘তৃতীয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে। জিতে গেলেই নির্বাচন সুষ্ঠু, না জিতলে দুষ্ট- এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর জন্য সবার এনগেজমেন্ট প্রয়োজন। এটি সরকারের তরফ থেকেই হতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে হতে পারে, সিভিল সোসাইটির উদ্যোগেও হতে পারে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যা আছে আমরা বলতে পারি, কিন্তু সেটিকে আমরা জনশক্তি বলতে পারি না। স্কিল ডেভলপমেন্টের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তর করা সম্ভব। এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে দিতে হবে। যা ইউরোপের দেশের সহযোগীতা ছাড়া বাংলাদেশ একা পারবে না।
সারাবাংলা/এমএইচ/ইআ