তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিল রাশিয়া
১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৩১
আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) প্রত্যাহার করেছে রাশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত। ২০০৩ সাল থেকে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল মস্কো, ফলে এ গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করা রুশ আইনে দণ্ডনীয় ছিল।
তালেবান ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো দেশগুলো দুই দশক পর সেখান থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করেছিল।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত তালেবানের জন্য কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গত বছর রাশিয়ায় একটি নতুন আইন পাস হয়, যাতে আদালত চাইলে কোনো গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী সংগঠনের স্ট্যাটাস স্থগিত করতে পারে।
রাশিয়া ইতোমধ্যেই তালেবান প্রতিনিধিদের বিভিন্ন সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছে এবং আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে এক দশক ধরে যুদ্ধ করেছে, যার পরিসমাপ্তি ঘটে রুশ সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে।
রাশিয়ান কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছেন।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তান ইতোমধ্যেই তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিয়েছে।
তবে তালেবান ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর নারীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাদের সরকার মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির পর শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং নারীদের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্র ও জনসাধারণের স্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ফলে তারা আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যদিও চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
জাতিসংঘ এ বছর আবারও তালেবানকে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। নারীদের অধিকার হরণ, শরিয়া আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে শাস্তি কার্যকরের মতো পদক্ষেপের কারণে বিদেশি সাহায্যও কমে এসেছে।
সারাবাংলা/এনজে