Monday 21 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে গেল ২৭৩ মেট্রিক টন আলু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট
১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৮

রফতানির জন্য স্থলবন্দর দিয়ে আলু পাঠানো হচ্ছে।

পঞ্চগড়: দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে পাট,জুসসহ বিভিন্ন পন্যের পাশাপাশি আলুও রফতানি হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এ স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে আলু রফতানি হয়ে আসছে। আবারও নতুন করে ২৭৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হলো।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।

জানা যায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে কয়েকটি ট্রাকে মোট ২৭৩ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে। এর আগে ১০ এপ্রিল বন্দরটি দিয়ে ১৪৭ মেট্রিক টন আলু রফতানি হয়। এ নিয়ে মোট ৪৪৯৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হলো।

আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও,দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালো মানের আলু সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তীতে নেপালে রফতানি করা হচ্ছে।

থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ ও ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপসহ বেশ কিছু রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এই আলু নেপালে রফতানি করছে। এভাবে নিয়মিত আলু রফতানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন ও দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের আলুর দাম পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ নেপালে বাংলাদেশের আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত নেপালে আলু রফতানি করছি। এতে আমরা কৃষক, ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হচ্ছি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছেন।’

ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপের মালিক কে এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ভালো মানের আলু সংগ্রহ করে নেপালে রফতানি করি। আমরা যদি ভালো মানের আলু নেপালে রফতানি করতে পারি তাহলে আমরা সবাই লাভবান হবো তাই আলুর কোয়ালিটি সম্পন্ন করাই প্রথম ধাপ। এছাড়া আমরা আগে ২০ শতাংশ ইনসেফটি পেতাম সরকারের পক্ষ থেকে, সেটা এখন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা যদি সরকার বাড়াতো তাহলে আমরা অনেক লাভবান হতাম।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আলুগুলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ট্রাকযোগে আসলে আমরা আলুগুলো আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি পরে বন্দর হয়ে ভারত হয়ে নেপালে যাচ্ছে আলু। এভাবে যদি প্রতি বছরে আলু রফতানি হয় তাহলে কৃষক, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই লাভবান হবে।’

এদিকে বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও রফতানি হয়। নতুন পণ্য হিসেবে আলু রফতানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি সরকারও রাজস্ব পাচ্ছে।’

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

আলু রফতানি নেপাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর