কঙ্গো নদীতে জ্বালানিবাহী একটি নৌকায় আগুন ধরে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১৪৩ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কঙ্গো নদীতে অবস্থিত এমবানডাকা শহরের কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল ছিল রুকি ও কঙ্গো নদীর সংযোগস্থল, যা বিশ্বের গভীরতম নদী হিসেবেও পরিচিত।
জাতীয় সংসদের একটি প্রতিনিধিদলের প্রধান জোসেফিন-প্যাসিফিক লকুমু জানান, ‘বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রথম দফায় ১৩১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, এরপর বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ও শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আরও ১২টি মরদেহ পাওয়া গেছে। এদের অনেকের শরীর পুড়ে গেছে।’
লকুমু বলেন, নৌকাটিতে থাকা রান্নার আগুন থেকে জ্বালানি বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। এক নারী রান্নার জন্য আগুন ধরালে পাশে রাখা জ্বালানিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে বহু নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়।
কিছু যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোকন্ডো। তবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত অনেক পরিবার এখনও তাদের স্বজনদের কোনো খোঁজ পাননি।
দক্ষিণ-মধ্য আফ্রিকার বিস্তৃত এই দেশটিতে চলাচলের উপযুক্ত সড়ক পথের অভাবে নদীপথে যাতায়াত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর ফলে প্রায়ই নৌদুর্ঘটনা ঘটে এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
কঙ্গোতে নৌপথে যাত্রীদের কোনো তালিকা না থাকা উদ্ধার কার্যক্রমকে জটিল করে তোলে।