যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৪৪ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৭
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ও সাম্প্রতিক গ্র্যাজুয়েটদের ভিসা বাতিলের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২০ জানুয়ারি ২০২৫ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অন্তত ১ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করেছে, যার মধ্যে অনেককে প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যেসব শিক্ষার্থী ২০২৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হওয়া প্রো-প্যালেস্টাইন আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এই ভিসা বাতিলের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। কিছু শিক্ষার্থী শুধুমাত্র সামাজিক মাধ্যমে গাজা বিষয়ে সহানুভূতিশীল পোস্ট করায় বা ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানোয় ভিসা হারিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এসব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধী ও হামাসপন্থি মনোভাব ছড়াচ্ছেন, যদিও শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গাজায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অনেক ইহুদি সংগঠন এবং কর্মীও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে তুলনামূলকভাবে ছোটখাটো আইনি অপরাধ, যেমন- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন বা গতি সীমা অতিক্রম এসব কারণে।
মার্চের শেষদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএলএ) তথ্য অনুযায়ী, ৪ হাজার ৭০০-এর বেশি শিক্ষার্থীকে মার্কিন অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ডেটাবেইস (এসইভিআইএস) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে আরও সংরক্ষিত হিসেবে ধরা হলেও সংখ্যাটি হাজার ছাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিষয়ক সংগঠন (এনএএফএসএ)-এর হিসাবে, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভিসা বাতিল ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সমাজে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
সারাবাংলা/এনজে