Thursday 01 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের প্রশংসায় নাসা, স্মরণীয় সাফল্য বলছে বেসিস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৪৫ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৭

ঢাকা: বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ দলিল আর্টেমিস অ্যাকর্ডে সই করেছে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-এর পক্ষ থেকে এসেছে অভিনন্দন বার্তা, যা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বেসিস।

বিজ্ঞাপন

নাসার অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জ্যানেট পেট্রো-এর পক্ষে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এর গ্লোবাল কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট টিমের অ্যালিসন জেমস একটি বিশেষ ই-মেইলে বাংলাদেশের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ মনগুলো তাদের মহাকাশ গবেষণা অন্বেষণের প্রতি যে আবেগ ও উৎসাহ দেখিয়েছে, তা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে। গত ছয় বছরের মধ্যে চারবার বাংলাদেশের উদ্ভাবকরা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এখান থেকে ভবিষ্যতে অসাধারণ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, এমনকি নভোচারীও উঠে আসবে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এই আন্তরিক বার্তাকে একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখছে। ২০১৪ সাল থেকে বেসিস ধারাবাহিকভাবে ১১ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। শুধু আয়োজন নয়, বেসিস প্রতিনিয়ত এই উদ্যোগে অর্থায়ন, রিসোর্স প্রদান, দেশব্যাপী ভেন্যু ব্যবস্থাপনা এবং বিজয়ী দলগুলোর আন্তর্জাতিক ভ্রমণসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলেই গত এক দশকে বাংলাদেশ চারবার গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যার মধ্যে তিনবার ছিল টানা সাফল্য। ২০১৮ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলিক’ ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয় তাদের চাঁদে ভ্রমণের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রজেক্টের জন্য। ২০২১ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বিএইউইটি)-এর ‘টিম মহাকাশ’ ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২২ সালে ‘টিম ডায়মন্ডস’ ‘মোস্ট ইনস্পিরেশনাল’ ক্যাটাগরিতে বিজয় অর্জন করে এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ‘টিম ভয়েজার্স’ ‘বেস্ট স্টোরিটেলিং’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বসেরা হয়।

বিজ্ঞাপন

এই ধারাবাহিক সাফল্যের বিষয়ে বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেন, ‘যখন দেখি বাংলাদেশের কেউ নাসাতে গিয়ে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরে, সেটা আমাদের গর্বিত করে তোলে। এই প্রতিযোগিতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার একটি দরজা খুলে দিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন জন্ম নেবে।’

বেসিস বিশ্বাস করে, মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশের তরুণ প্রজন্মকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আরও উদ্ভাবনী হয়ে উঠতে উৎসাহ দেবে। নাসার স্বীকৃতি ও শুভেচ্ছা বার্তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশি উদ্ভাবকদের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমপি

নাসা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর