Monday 21 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ দাবি আদায়ে আজও কর্মবিরতিতে পটুয়াখালী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৪০

কর্মবিরতি ও একাডেমিক শাটডাউন করে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা

পটুয়াখালী: তিন দফা দাবি আদায়ে আজও অবস্থান এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও একাডেমিক শাটডাউন করে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় তারা তাদের দাবি আদায়ে নানা শ্লোগান দেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষে বক্তব্য দেন ডা. সবুর সুমন, ডা. সুমাইয়া সাইমা শর্মী, ডা. স্বর্না মজুমদার প্রমুখ।

তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গত ১৪ এপ্রিল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। আমাদের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তাদের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই আমাদের এক শিক্ষককে ওএসডি করা হয়েছে। রোববারের মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রকৃত দোষীদের বিচার করতে হবে।

এ ছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্নাঙ্গ ৫০০ শয্যা হাসপাতাল চালু ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের দাবি জানান তারা। দফায় দফায় আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ দাবিগুলো বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, একাডেমিক শাটডাউন, হাসপাতাল আউটডোর বন্ধ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হবে।

পরে মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের বরাবরে স্মারকলিপি দেন তারা।

এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে পমেক উপাধ্যক্ষ এ এফ এম আতিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসার মান উন্নয়নে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তা দেওয়া ও প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হলে চিকিৎসকরা তাদের কর্মস্থলে এবং শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে। এ ছাড়া ৫০০ শয্য হাসপাতালের কাজ শেষে আগামী জুলাই মাসে হস্তান্তর করা হবে। এরপর সেটি চালু হবে। তবে লোকবল নিয়োগের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এইচআই

৩ দাবি নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পটুয়াখালী মেডিকেল শিক্ষার্থীরা