রাবিতে ভর্তিচ্ছুদের পাশে বিভিন্ন সেবা নিয়ে ছাত্রদল-শিবির
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৪৮ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৬
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের জন্য তথ্য সেবা কেন্দ্র, বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, অভিভাবকদের বিশ্রামাগার, খাবার, পানি ও শুভেচ্ছা ফুলসহ বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে রাবি শাখা ছাত্রদল। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে ফ্রি বাইক রাইড, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সেবা দিচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এতে উপকৃত হয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু-অভিভাবকরা।
ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে সাতটি ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র ও একটি বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র বসানো হয়েছে। সেগুলোতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাবার, পানি, কলম, শুভেচ্ছা ফুল এবং অভিভাবকদের সময় কাটানোর জন্য পত্রিকা পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া দ্রুত সময়ে ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যক্তি উদ্যোগে ফ্রি বাইক রাইড সেবা, যানজট নিরসনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সেবা দিচ্ছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদলের এমন সহায়তায় উচ্ছাস প্রকাশ করে নাটোর থেকে আসা সবুজ সিকদার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে পিপাসা পেয়েছিল। একটা ডেস্কে গিয়ে ফ্রিতে পানি এবং বিস্কুট পেয়েছি। এ ছাড়া দেখছি ডেস্কগুলো থেকে বিভিন্নরকম সহায়তা দিচ্ছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।’
কুষ্টিয়া থেকে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছেন রাইসুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছি। মেয়েকে হলে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে এসে এখানে অপেক্ষা করছি। ছাত্ররা এসে পানি বিস্কুট দিয়ে গেল। অনেকে দেখছি পত্রিকা পড়ছে। ছাত্রদের এই কাজে দূর থেকে আসা ভর্তিচ্ছুরা অনেক উপকৃত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘তারেক রহমানের সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে রাবি ছাত্রদলের উদ্যোগে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের জন্য আমরা বিভিন্নরকম সেবামূলক কাজ করছি। আশাকরি ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। অতীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যেভাবে ছাত্রদল রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ঠিক তেমনিভাবে আগামীতেও একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে ছাত্রদল সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবে।’
১৫-২০জন কর্মী নিয়ে জোহা চত্বর ও বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেটে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতে ভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিলুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, ‘পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় যানজটের কারণে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে বিলম্ব হতো। পরীক্ষার্থীরা যেন যানজটের না পড়ে, দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে সে জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।’
অন্যদিকে ছাত্রশিবিরও তিনটি সহায়তা কেন্দ্র থেকে ভর্তিচ্ছুদেরকে সকালের নাস্তা, পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, কলম, চাবির রিং, বাচ্চাদের জন্য চকোলেট, অভিভাবকদের বিশ্রামাগার, বই পড়ার জন্য বুক কর্ণার ও অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট করাসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রশিবিরের স্বেচ্ছাসেবীরা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা করছে। পাশাপাশি আটটি বাইকে ভর্তিচ্ছুদের দ্রুত সময়ে হলে এবং কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।
জানতে চাইলে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সারাদেশে শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মসূচি পালন করছি। তারই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের বিভিন্নভাবে সহায়তা সহযোগিতা করছি।’
ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক হাফেজ মেহেদী হাসান বলেন, ‘ভর্তি উপলক্ষে যারা ক্যাম্পাসে আসছেন তারা সকলেই আমাদের মেহমান। আমাদের ক্যাম্পাসে এসে তাদের যেনো কোনোরকম ভোগান্তি না হয় সেজন্য আমরা এসব সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’
রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর এমন সহায়তায় উচ্ছাস প্রকাশ করে নাটোর থেকে আসা সবুজ সিকদার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে পিপাসা পেয়েছিল। একটা ডেস্কে গিয়ে ফ্রিতে পানি এবং বিস্কুট পেয়েছি। এছাড়া দেখছি ডেস্কগুলো থেকে বিভিন্নরকম সহায়তা দিচ্ছে। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।’
কুষ্টিয়া থেকে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছেন রাইসুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছি। মেয়েকে হলে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে এসে এখানে অপেক্ষা করছি। ছাত্ররা এসে পানি বিস্কুট দিয়ে গেল। অনেকে দেখছি পত্রিকা পড়ছে। ছাত্রদের এই কাজে দূর থেকে আসা ভর্তিচ্ছুরা অনেক উপকৃত হচ্ছে।’
সারাবাংলা/ইআ