Tuesday 29 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আসুন সবাই মিলে প্রফেসর ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৮ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৭

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: সবাই মিলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেমিনার হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায়ন: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক সমস্যা আমাদের আছে, বরাবরই আছে। আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। সমস্যা আছে, সমস্যার সমাধান হবে। আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, সবাই মিলে তাকে সাহায্য করে আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি। তবে একটা কথা, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং গণতন্ত্রকে কখনো চাপিয়ে দেওয়া যায় না—এটা চর্চা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশটা আমাদের, এর ভবিষ্যতও আমাদের নির্মাণ করতে হবে। আমেরিকা থেকে ট্রাম্প এসে ঠিক করে দেবেন না বা চীন থেকে সি এসেও এটা করে দেবেন না কিংবা ভারত থেকে মোদিও আমাদের ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবেন না। এ বিষয় আমাদের অন্তরে গেঁথে নিতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু সমস্যা আছে। এর জন্মই হয়েছে বহুত্ববাদের মধ্য দিয়ে। এটা নিয়ে অনেকে ভুল–বোঝাবুঝি করেন। বহু চিন্তার মধ্য দিয়ে, অনেক চিন্তা এসে এখানে এক সঙ্গে হয়েছে। স্বাধীনতার সময় আমাদের নেতা অনেকেই ছিলেন। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ্ তখন বড় নেতা ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের একেকজনের একেক চিন্তা ছিল। কেউ সমাজতন্ত্র, কেউ কমিউনিজম, কেউ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করেছেন। তারপর যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমরা সবাই এক হয়েছি এবং এক হয়ে লড়াই করেছি। আজ ২৪–এ একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা এসেছি, যেদিন ছাত্রদের ওপর গুলি শুরু হয়েছে, সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রায় শত বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এ লড়াইয়ে আমাদের অনেক ত্যাগ আছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই আমাদের কয়েক হাজার তরুণ-তাজা প্রাণ চলে গেছে। তাদের ত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, সুখী দেশের স্বপ্ন দেখছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চার দিকের অবস্থা, টেলিভিশনের টক শো, বিদ্যান মানুষের বক্তৃতা— সব কিছু শুনে সবাই কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়ছেন। সবাই বলছেন, এত যে রক্তপাত হল, এত রক্ত ঝরল, এত মায়ের বুক খালি হল—কী হবে এর শেষ পরিণতি? আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিণতি খুব ভালো হবে। কারণ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই করেছি এবং জয়ী হয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, তার সবটা তরুণদের জন্য হয়েছে। ‘সেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একেবারে ২৪–এর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সামনে থেকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছেন আমাদের ছেলেমেয়েরা এবং সেখানেই আমাদের শক্তি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক মানুষের কথা কেউ বলে না। আমাদের কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ, বৈষম্য তো তাদের কাছে, পুরো বৈষম্য তো সেখানে। তাদের কথা বলা দরকার, তারা হেসেখেলে তাদের কাজ করছেন এবং বাংলাদেশকে টেনে তুলে ধরছেন।’

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ, পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন প্রমুখ। সেমিনারে ভিডিও বার্তা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এইচআই

টপ নিউজ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি নির্বাচন বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর