সচেতন হলেই অটিস্টিক শিশুর জন্ম ও বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৫ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৭
ঢাকা: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, অটিস্টিক শিশু যে বাড়ছে এই দায় সমাজের ওপর পড়বে। শিশু পেটে আসার পর থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে। বাল্যবিবাহ এখন বাড়ছে। আমি বিভিন্ন হাসপাতালে গেলে দেখতে পাই ছোট ছোট মেয়েরা মা হচ্ছে। জন্ম তখনই সুরক্ষিত হবে, যদি আমরা সচেতন হই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত”।
নূরজাহান বেগম বলেন, ২০২১-২২ সালে আমি গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রামীণ শিক্ষা নামক একটি কাজ করার সুবাদে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের বাস্তবতা দেখেছি। অটিস্টিক শিহুর জন্ম বেড়ে গেছে। প্রসবকালীন সময়ে শিশুদের অক্সিজেন ঘাটতি এবং মস্তিষ্কে আঘাত লাগে, এসব ক্ষেত্রে স্নায়বিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা পরে অটিজমের মতো লক্ষণে প্রকাশ পেতে পারে। এসব কারণেই আমরা দেখছি, দেশে দিন দিন অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ১৩ বছরের শিশুকে মা কোলে করে নিয়ে আসছে তখন দেখে অন্য কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কথা বলতে গিয়ে ওই শিশুর মায়ের কাছ থেকে জানলাম তার পেটে তার স্বামী লাথি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা নারীকে নারী হিসেবে, মা কে মা হিসেবে কতটা মর্যাদা দেই। আগে প্রচলন ছিল নারী জুতার মত, যখন লাগবে ব্যবহার করবেন এরপর ছুঁড়ে ফেলে দিবেন। সেখান থেকে আমাদের উন্নতি হয়েছে। তবে গ্রাম পর্যায়ে নারীরা আজও অবহেলিত। বাল্যবিবাহ এখনও বাড়ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে গেলে দেখতে পাই ছোট ছোট মেয়েরা মা হচ্ছে। জন্ম তখনই সুরক্ষিত হবে যদি আমরা সচেতন হই।
চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের যদি নিজেরা প্রশ্ন করি, তাহলে ভুল কম হবে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দায় থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. সাইদুর রহমান (সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; ডা. মো: সারোয়ার বারী (সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ)। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আহমেদ জামশেদ মোহামেদ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি (এ.আই.)।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপি গর্ভাবস্থা বা প্রসবজনিত কারণে প্রায় তিন লাখ নারী এবং ২৩ লাখেরও বেশি নবজাতক জন্যে ও প্রথম মাসেই মারা যায়, এ ছাড়াও লাখ লাখ মৃত শিশুর জন্ম হয়।
সারাবাংলা/এমএইচ/ইআ