Tuesday 22 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার ও ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে বান্দরবানে প্রতিবাদ সমাবেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৬ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২২

প্রতিবাদ সমাবেশ

বান্দরবান: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও রাঙ্গামাটি কাউখালিতে আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বান্দরবানে আদিবাসী ছাত্র সমাজ।

রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে শহরে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় ফেস্টুন ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সারা বাংলাদেশে মানবাধিকার বিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের ওপর এমন ঘৃণ্য ঘটনা আত্মবিধ্বংসী। আগে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অপহরণ ও ধর্ষণের মতো যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেটি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমলে ঘটছে। আগেও যেমন একটিরও বিচার হয়নি তেমনি এখনো বিচার কিংবা আইনে আওতায় আনা হচ্ছে না। এদেশের নাগরিক হয়েও সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছি না। এ বিচার বহির্ভূত সংস্কৃতি একদিনে তৈরি হয়নি। পাহাড় ও সমতলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাই অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে দ্রুত নিঃশর্তভাবে সুস্থ শরীরে মুক্তি ও আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের বিচারের আইনে আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের জন্য যথাযথ প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে অধিকার কর্মী জন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল সাধারণ সম্পাদক অংশৈসিং মারমা, প্রাথমিক শিক্ষক উলিসিং মারমা, শিক্ষার্থী চিতন তংচঙ্গ্যা, পায়াং ম্রো ও উশৈহ্লাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি সদরস্থ গিরিফুল জায়গা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হন। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।

অপরদিকে, ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে রাঙ্গামাটির কাউখালিতে এক আদিবাসী মারমা তরুণীকে (২০) দুই যুবক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অজ্ঞাত স্থানে রাতভর দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। পরের দিন ১৭ এপ্রিল সকালে ভুক্তভোগী তরুণী পালিয়ে কাউখালি থানায় গিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন।

সারাবাংলা/এসআর

আদিবাসী ছাত্র সমাজ ধর্ষকের শাস্তির দাবি শিক্ষার্থী অহরণ