কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৩ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪৭
খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।পাঠ দানে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
রোববার (২০ এপ্রিল) বিকালে ক্যাম্পাসে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আলটিমেটাম দেয়। এই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন বলেও ঘোষণা দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে কর্মসূচির ঘোষণা দেন— ইইই বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীর সৈকত ও আই ই এম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল।
শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের হাতে আর কিছু করার নাই। আমরা ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দিলাম। এই ভিসিকে অপসারণ না করা হলে আমরণ অনশনে বসবো।
অপরদিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা ও নির্মমভাবে আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমই বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লা আল ফারুককে সভাপতি করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা ও নির্মমভাবে আহত করার ঘটনার প্রেক্ষিতে ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) কুয়েট শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করেন, শিক্ষক সমিতির চতুর্থ সাধারণ (জরুরি) সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় শিক্ষকরা পাঠদানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মত প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে তাদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করেছে। অপরদিকে ছাত্রদল দাবি করে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র শিবির হামলা করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন করেন এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ, ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের ছয় দফা দাবি লিখিত আকারে জমা দেন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় প্রশাসন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে।
সারাবাংলা/এসআর
২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কুয়েট খুলনা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসির পদত্যাগে আল্টিমেটাম