হত্যা মামলার আসামি খালাস, বিক্ষুব্ধ জনতার আদালতে অবস্থান
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৮
পঞ্চগড়: পঞ্চগড় একটি হত্যা মামলার সকল আসামীকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে বাদি পক্ষ। এ সময় উপস্থিত জনতাও আদালত প্রাঙ্গণে ক্ষুব্ধ হয়ে রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ৩০ মার্চ জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ঝালিঙ্গিগছ এলাকায় কসির উদ্দিন ও শামসুল হক পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হলেও কসির উদ্দিনের ছেলে এরশাদ মাথায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাত পেয়ে চিকিৎসধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান। এ ঘটনায় ৩১ মার্চ তেঁতুলিয়া থানায় মামলা করেন তার বাবা কসির উদ্দিন। ঘটনার দুই মাস পর পালটা মামলা করেন প্রতিপক্ষ শামসুল হকের স্ত্রী রনজিনা বেগম। আইনজীবীরা দুটি মামলা মোশন করে একত্রে পরিচালনা করেন। দীর্ঘদিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোনো পক্ষই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় রোববার দুপুরে আদালত দুটি মামলার সকল আসামীকেই বেকসুর খালাস রায় দেন। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসএম রেজাউল বারী এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পরপরই আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে নিহত এরশাদের পরিবারের লোকজন। তারা ন্যায় বিচার পান নি বলে ক্ষোভ প্রকাশসহ নানা অভিযোগ তোলেন। একই সাথে তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে এরশাদের মা রমেছা বেগম বলন, ‘আমার ছেলেকে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারা। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ছেলে মারা যায়। আমার ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে ১৫ বছর ধরে আদালতে ঘুরছি। ন্যায় বিচার পাবার আসায় জমি জায়গা বিক্রি করে টাকা খরচ করেছি। আমার ছেলের একটা এতিম সন্তানও রয়েছে। আদালত এমন রায় দিবে আমি আশা করিনি। আমরা গরীব মানুষ বলে কি আমার ছেলের হত্যার বিচার পাবো না। আমরা এই রায় মানি না।’
এদিকে আসামির পক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষের দুটি মামলাকে ট্যাগ করে এই রায় দিয়েছে আদালত। পুলিশি তদন্ত এবং সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত যে রায় দিয়েছে তা যুক্তিযুক্ত।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মতিন বলেন, ‘আদালতের রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ