সড়কে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৮ | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ছয় দফা দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। দাবি মেনে নেওয়া না হলে সড়ক ছেড়ে না যাওয়ার এবং আমরণ অনশন শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরাণ।
এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।
দুপুরে তারা মিছিল নিয়ে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। দ্বিমুখী সড়কের একপাশ জুড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের অবস্থানের কারণে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের নন। অধিকাংশই অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস, যাদের মূল দায়িত্ব ল্যাব সহকারী হিসেবে কাজ করা। তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যারা পলিটেকনিক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। আমরা বারবার দাবি জানিয়ে যাচ্ছি, আমাদের কথায় কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছে না। অথচ আমাদের দাবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারিগরি শিক্ষাকে যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সড়ক থেকে উঠব না।’
এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো— জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম