Tuesday 29 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম পলিটেকনিকের প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১০ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৩১

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ, উপাধাক্ষ্যসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে তালা দেন।

কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষার্থীরা, ‘দেশ গড়ার হাতিরার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, কুমিল্লা পলিটেকনিকে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই, কারিগরি শিক্ষাই মুক্তি, দেখিয়েছে চীন পরাশক্তি’-সহ হাতেলেখা সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার ও স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরাণ।

বখতিয়ার আজাদ নামে এক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ আটমাস ধরে আমরা আন্দোলন করছি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করার কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি না মানলে আরও কর্মসূচি আমরা দেব। যদি কোনোভাবে আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা লংমার্চ টু কারিগরি অধিদফতর দিতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি যতদিন পর্যন্ত মানা হবে না, ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে না। সব অফিস তালাবদ্ধ থাকবে।’

আরেক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনে তালা মারার যে কর্মসূচি সেটা আমাদের বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলন থেকে ডাকা হয়েছে। প্রত্যেক পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের ভবনে তালা মেরে দেয়া হবে। ছয় দফা মেনে না হলে আমরা এ কর্মসূচি থেকে পিছপা হবো না।’

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের নন। অধিকাংশই অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস, যাদের মূল দায়িত্ব ল্যাব সহকারী হিসেবে কাজ করা। তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন।

এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছিলেন। দুপুরে তারা মিছিল নিয়ে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এসে দ্বিমুখী সড়কের একপাশে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো— জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।

সারাবাংলা/আইসি/এমপি

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তালা প্রশাসনিক ভবন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর