Wednesday 30 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০ বছরের জঞ্জাল দুই বছরের শেষ হবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৮ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৩

ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ২০ বছরের জঞ্জাল দুই আড়াই বছরে শেষ করা যাবে না। এতটুকু বলতে পারি ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, কালশী রোড ও মিরপুর কমার্স কলেজ এলাকার যে সব স্থানে বর্ষাকালে বড় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সেসব স্থানের জলাবদ্ধতা রোধে আমরা চেষ্টা করছি।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবনের হল রুমে ‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এ বছর আমাদের গরমের আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এই শহরে আমি বৃষ্টি চাই। কিন্তু আমার অন্য কেউ বসলে, বলবো এই শহরের আমরা বৃষ্টি চাই না। বৃষ্টির পরের পরিস্থিতি এই শহরে আমরা সবাই মিলে মোকাবেলা করার চেষ্টা করব।’

মশক নিধনে কিভাবে সিটি করপোরেশনের দক্ষ দল তৈরি করা যায় জানতে চাইলে প্রশাসক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ১০ পারসেন্ট একমত বাকি ৯০ পারসেন্ট একমত না। বাস্তবতা হচ্ছে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের পরিবর্তন হয় কিন্তু মাঠ পর্যায়ের তেমন কোন কর্মী পরিবর্তন হয় না। আমরা প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করে থাকি তবে থার্ড পার্টিরা মূলত ব্যবসা করার জন্য আসে। অতীতে সিটি কর্পোরেশনে কাজ করতে এসেছে তারা বড় ধরনের সিন্ডিকেট করেই কাজ করতে এসেছিলো। এসব তাদের বড় লাভ হয়েছিল।’

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘বিভিন্ন খাল পরিষ্কার ও মশক নিধানের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা যেসব আছেন তাদের কাজের জন প্রতি বিল দেওয়া হয় ১৭-১৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এই কর্মীরা আসলে পান ৬-৮ হাজার টাকা। প্রায় ১০ হাজার টাকা নাই। এক হাজার লোকের ১০ হাজার টাকা নাই মানে কোটি টাকার বাণিজ্য। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সরাসরি বিল দিতে চাই। আমরা আউটসোর্সিং কোম্পানি গুলোকে জানিয়ছি মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের বিল দেওয়া হবে। এর ফলে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা ন্যায্য বিল পাবেন। এ বিষয়ে মাথায় রেখেই আমরা ভবিষ্যতে কাজ করব। আমরা থার্ড পার্টি বা আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোকে তাদের কমিশন দিয়ে দিব কিন্তু তারা (কোম্পানিগুলো) মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের লিস্ট, মোবাইল নম্বর ও ব্যাংক একাউন্ট নম্বর দিয়ে দিবেন। সিটি কর্পোরেশন মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের টাকা ব্যাংক একাউন্টে দিয়ে দিবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমিউনিটিকে বলছি, আপনাদের এলাকায় বা রোডে যে ব্যক্তি মশার ওষুধ ছিটাচ্ছেন ও সুপারভাইজার কর্মীদের মোবাইল নাম্বার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যদি সেখানে না যায় ওষুধ না ছেটায় আমাদের কে যানাবেন। আপনাদের কাছ থেকে তাদের (কোম্পানিগুলোর) কাজের রিভিউ আমরা পাব। যদি কোন কারণে মাঠ পর্যায়ে কোন অনিয়ম বা দুই নম্বরই পাই তাহলে কোম্পানিগুলোর এগ্রিমেন্ট বাতিল করে দেব।’

সারাবাংলা/এমএইচ/এমপি

জলাবদ্ধতা ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঢাকা সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর