চীনের উপহার
‘১০০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য নীলফামারীর জায়গাটি প্রথম পছন্দ’
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৪৫ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৮
নীলফামারী: চীনের অর্থায়নে উপহার হিসেবে এক হাজার শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। এ সময় তিনি নীলফামারীর জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন মাঠ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। তিনি বলেন, ‘চীন সরকারের অর্থায়নে যে হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশেপাশে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। রংপুরে পূর্বে যে স্থানটি আমরা পরিদর্শন করেছি, সেটি মোটেও সন্তোষজনক ছিল না। পরবর্তী সময়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক যে জায়গার প্রস্তাব দিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট আকারে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। সেই জায়গাটি পরিদর্শনে এসে আমরা খুশি। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি একটি অত্যন্ত উপযোগী স্থান।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবিত এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি। ফেসবুকে যেসব মন্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেসব নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। চীন সরকারের প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে এবং এই স্থানেই হবে।’
ভৌগোলিক অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকেও এই স্থানকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেন ডা. হারুন। তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের জানিয়েছিলেন ১০ থেকে ১২ একর জমি প্রয়োজন। কিন্তু এখানে এসে দেখা গেল, ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।’
এই হাসপাতাল নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলের জনগণ আধুনিক চিকিৎসাসেবা পাওয়ার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/পিটিএম