গৃহকর্মীকে মারধর, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪০ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪৩
ঢাকা: শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পিংকি আক্তার নামে এক গৃহবকর্মী।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে মামলাটি করেন তিনি। এ ঘটনায় বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, পরীমনির পাশাপাশি এ মামলায় সৌরভ (২৮) নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। পরীর সঙ্গে তিনি একই ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী পিংকি নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়নের ফাদুলিয়া গ্রামের মো. মোজাম্মেলের মেয়ে। তিনি গত বছরের মার্চে নায়িকা পরীর বাসায় কাদের এজেন্সি’র মাধ্যমে গৃহকর্মীর চাকরি নেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, একটি বাচ্চাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে এজেন্সি থেকে পিংকিকে পরীমনির বাসায় নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে দুটি বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে হতো। এছাড়া দিন-রাতে বাসার রান্নার কাজ করা লাগতো। তবু চাকরি একান্ত আবশ্যক হওয়ায় সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
চলতি বছরের ২ এপ্রিল দুপুর ১টায় নিজের মেকআপ রুম থেকে মাদক নিয়ে বাচ্চার কক্ষে আসেন পরীমনি। এ সময় পিংকিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। গালাগাল কেন করছেন জানতে চাইলে পরীমনি বলে ‘তুই আমার বাচ্চার জন্য দুধ কেন তৈরি করছিস, এখন ওকে সলিড খাবার দিবি’। পিংকি বলেন, ‘বাচ্চার খাওয়ার রুটিন অনুসারে এখন দুধ খাওয়ানোর কথা, তাই আমি দুধ তৈরি করেছি’।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথায়, মুখে ও চোখে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন পরীমনি। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর সন্ত্রস্ত্র হয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ও হাসপাতালে নেয়ার অনুরোধ করতে থাকেন। ঘটনার সময় ২ নম্বর আসামি সৌরভও ছিলেন। কিন্তু আসামিরা তার কোনো কথা শোনেননি। পিংকিকে আরও নির্যাতন করার জন্য পরীমনিকে উৎসাহিত করতে থাকেন আসামি সৌরভ। এছাড়া পিংকিকে বাসার বাইরে যেতে বাধা দেন।
পরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে যান ভুক্তভোগী পিংক। পরে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল ভাটারা থানায় একটি জিডি করেন। সেই জিডির কোনো অগ্রগতি না দেখে আদালতে মামলা করেন গৃহকর্মী।
সারাবাংলা/আরএম/পিটিএম