বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে সমঝোতা স্মারক সম্প্রসারণ করবে কাতার
২২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:০২ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১৩
দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: কাতার সরকার বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক নবায়ন করতে এবং বাংলাদেশে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালের জন্য প্রযুক্তিগত বিবরণ নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বলেন ‘আমরা যতটা সম্ভব বাংলাদেশকে সমর্থন করতে চাই এবং আমরা তা অব্যাহত রাখব।’
কাতার ও বাংলাদেশ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাসের সঙ্গে একটি জি টু জি প্রক্রিয়ায় ১৫ বছরের জন্য ১.৫ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানির জন্য একটি চুক্তি (এলএনজি এসপিএ) সই করে। এই চুক্তির আওতায় বার্ষিক ৪০টি কার্গো আমদানি করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে ১৫ বছরের জন্য অতিরিক্ত ১.৫ মেট্রিক টন এলএনজি প্রদানের জন্য দ্বিতীয় এলএনজি এসপিএ সই হয়, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এলএনজি এসপিএ সম্পর্কিত একটি সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যায়। ফলে কাতার কর্তৃপক্ষ নতুন করে প্রতিশ্রুতি দেয়।
বৈঠকে কাতারের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সমঝোতা স্মারক সই করব’। প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তারা আশা করছেন যে, দেশটি তাদের উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়ায় এলএনজির দাম কমে আসবে। ‘সরবরাহ নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি সর্বদা সর্বোত্তম সমাধান’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কাতারের প্রতিমন্ত্রীকে বলেন যে, ‘বাংলাদেশ কাতারের সহায়তায় আমাদের জ্বালানি সম্ভাবনা কাজে করতে চায়। আমাদের জ্বালানি খাত পুনর্গঠনের জন্য আপনার সাহায্য প্রয়োজন।’
বৈঠকে উপস্থিত জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফৌওজুল কবির খান বলেন, ‘বাংলাদেশ জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য মাতারবাড়ি কক্সবাজারে পাইপলাইন এবং এলএনজি সরবরাহসহ একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং পাইপলাইন নির্মাণের মাধ্যমে আর-এলএনজি সরবরাহের পরিকল্পনা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাতার থেকে এলএনজি কার্গোর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। দেশটির এলএনজি টার্মিনালগুলো বর্তমানে বছরে ১১৫টি কার্গো পরিচালনা করতে সক্ষম।’ বৈঠকে কাতারের প্রতিমন্ত্রী বলেন যে, তারা বাংলাদেশে ইউরিয়া সার সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনাও করছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিআইডিএ চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ, এসডিজিবিষয়ক সচিব লামিয়া মোর্শেদ এবং জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম