শব্দদূষণ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০৮ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০০
ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ রোধে আমাদের ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদফতরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন, এগুলো শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।’
তিনি বলেছেন, ‘উৎসবে উচ্চ মাত্রায় গান বাজানো হয়, এসব নিয়ন্ত্রণে আচরণগত এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন জরুরি। বহুদিনের সমস্যা একদিনে নিরসন সম্ভব না হলেও, এর প্রক্রিয়া শুরু করলে তা দূর করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, বর্ষবরণে একটি দুটি নির্দিষ্ট স্থান আতশবাজির জন্য নির্ধারিত করা হবে, এতে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
হাইড্রোলিক হর্নের ব্যাপারে রিজওয়ানা বলেন, হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি নিষিদ্ধ, তাই আমদানিকারকদের পাওয়া কঠিন। জরুরি অবস্থায় সাইরেনের ব্যবহারকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোটরসাইকেল গাড়িতে নিজ দায়িত্বে হর্ন দেয়া বন্ধ করতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন নিরব এলাকাতে শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, জনগণকে জানাতে হবে শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহারকারীকেই বুঝতে হবে, তার অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা গান চালানো অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শব্দদূষণ থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। কর্মশালায় বিভিন্ন দফতরের নীতিনির্ধারক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এফএন/এনজে