এসএমই খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে: শিল্প উপদেষ্টা
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২১ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৭
ঢাকা: শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, সত্যিকারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে এসএমই খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এসএমই নীতিমালা ২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইএলও বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত পরামর্শ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, এসএমই খাত শুধু ব্যবসা নয়, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এসএমই উদ্যোক্তাগণ তাদের লাভের শতকরা ৩০ ভাগই পুনরায় বিনিয়োগ করেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এসএমই ফাউন্ডেশন এর চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত পরামর্শ সভায় বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুজ্জামান এনডিসি ও রশিদুল হাসান, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার ও আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুয়োমো পউতিয়াইনেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় দেড় লাখ সিএমএসএমই উদ্যোক্তাকে সরাসরি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ১১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এসএমই নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়িত হলে দেশের লাখো সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা উপকৃত হবেন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খসড়া এসএমই নীতিমালা ২০২৫-এর ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইএলও বাংলাদেশের উদ্যোগে অংশীজনদের সাথে পরামর্শ সভা থেকে পাওয়া সুপারিশসমূহ শিগগিরই শিল্প মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয়া হবে।
বর্তমানে আইএলও বাংলাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ৩০ লাখ ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর তুয়োমো পউতিয়াইনেন বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সহায়তায় এসএমই খাতের পূর্ণ সম্ভাবনা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যাদের ৬০ ভাগই নারী উদ্যোক্তা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস