নির্বাচনের আগে খুনি হাসিনার রায় চাই: সারজিস আলম
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪১ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৭
ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে খুনী হাসিনার রায় দেখতে চাই। আমরা লক্ষ্য করতে পারছি যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা আবার মাথাচারা দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতার প্রতিফলন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরা জোন আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সারজিস আলম আরও বলেন, ‘যারা দেড় হাজার মানুষ হত্যা করিয়েছে। গণহত্যা ঘটিয়েছে এই দেশে, তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ যদি আবার রাজনীতিতে আসার স্পর্ধা করে তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা জুলাই অভ্যুত্থানের নিহতদের পরিবার এবং আহতরা ও আহতদের পরিবার আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।’
সারজিস বলেন, ‘খুনি হাসিনার দোসররা ফিরে আসার চেষ্টা করছে। অনেকেই খুনি শব্দ মুছে ফেলারও চেষ্টা করছে। তবে হাসিনাকে যারা খুনি হাসিনা হতে সাহায্য করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এতোগুলো শহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা আজকের অবস্থায় এসেছি। এ সময়েও যারা নির্বাচন নির্বাচন করে তারা স্বার্থপর। তাদের চোখ শহিদদের দিকে নয়, ক্ষমতার দিকে। আর যাদের চোখ ক্ষমতার দিকে তারা হাসিনার দিকে তাকান। ক্ষমতার লোভে তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। খুনি হাসিনাকে সরাতে আমাদের ১৫ বছর সময় লেগেছে। কিন্তু এরপর কেউ স্বৈরাচারী আচরণ করলে, তাকে সরাতে আমাদের ১৫ মাসও সময় লাগবে না।’
এ সময় দলটির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী স্টাইলে যারা রাজনীতি করতে চান তাদের বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ নেই। যারা সংস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশের মানুষ তাদের মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিস্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের পতনে ১৫ মাসও লাগবে না। যারা সন্ত্রাস শুরু করছে তাদের বিরুদ্ধে থাকবে এনসিপি।’
এ সময় পুলিশবাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভাইদের বলছি, আপনারা আমাদের শত্রু না। আপনারা যতো দ্রুত সম্ভব আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চিরুনী অভিযান চালান। আওয়ামী লীগের দোসরদের ধরুন। আমরা ছাত্রজনতা আপনাদেরকে বুকে টেনে নেব।’
সারাবাংলা/এফএন/এমপি