সুনামগঞ্জে কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন
২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২৮ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩১
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছে জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
বুধবার ( ২৩ এপ্রিল) বিকেলে পুরাতন শহিদ মিনারে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা এন. ডি. উসমান গনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কর্মী রিদয়ানুল হক নিহাল, সাইমন মিয়া, ফয়ছল আহমেদ, মকবুল হোসেন, শরীফ হোসাইন মিজান, নাঈম আহমেদ অন্তর, সাব্বির আহমেদ, আব্দুর রহমান পায়েল, মারিয়া জান্নাত প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা জানান, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে তা দেশের শিক্ষাঙ্গনের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ২ মে থেকে সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।
১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবির ঘোষণা দেন। ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা কুয়েটের ছেলেদের ছয়টি হলের তালা ভেঙে হলগুলোতে অবস্থান নেন। ১৯ এপ্রিল বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী গদিতে আগুন জ্বালানোর কর্মসূচি পালন করেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে হল খুলে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে সিন্ডিকেটের ১০২তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সারাবাংলা/এইচআই
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি কুয়েট কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবি প্রতীকী অনশন সুনামগঞ্জ