আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১১
ঢাকা: সারাবিশ্বে প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রায়েরবাজার এলাকার ৬টি স্কুলে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল সপ্তাহব্যাপী ‘শ্রবণ শক্তি রক্ষা কর, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত কর’ জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, ধানমন্ডি কচিকন্ঠ হাই স্কুল, লরেল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাই স্কুল, শের-ই বাংলা আইডিয়াল স্কুল, ইমপিরিয়াল ইন্টা: স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শব্দদূষণ একটি নিরব ঘাতক। বর্তমান ঢাকা শহরে যে হারে শব্দের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে মানুষ এই শব্দের কারণে দিন দিন তার শ্রবনশক্তি হারিয়ে ফেলছে। মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। শব্দদূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে গাড়ির হর্ণ। এছাড়া ইটভাঙ্গার মেশিন, জেনারেটর,কলকারখানার সৃষ্ট শব্দ, বাদ্যযন্ত্রের শব্দ ইত্যাদি। একজন মানুষের জন্য স্বাভাবিকভাবে শব্দের মাত্রা হল ৪৫ ডেসিবেল। অথচ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় শব্দের মাত্রা ৬৮ থেকে ১০৬ ডেসিবেল বা অধিক মাত্রার শব্দ প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরের শব্দদূষণ ঢাকা শহরে কারণে অকারণে গাড়ির হর্ন বেজে উঠে এখন যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। শুধু হর্ণ নয় বিভিন্নভাবে শব্দদূষণের মাত্রা এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা কোথাও স্বাভাবিক এর তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি।
১৯৯৭ সালের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত নীরব এলাকা। স্থান এবং এর গুরুত্বের বিবেচনায় রেখে দিন ও রাত্রির ভেদে নীরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক, মিশ্র ও শিল্প এলাকার শব্দের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শব্দদূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক অবসাদসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত, শিশুরা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কারণ তাদের উপর শব্দদূষণের প্রভাব স্থায়ী হতে পারে। গর্ভবতী নারীরা অতিরিক্ত শব্দদূষণের শিকার হলে সন্তানদের বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মাঝে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
ক্যাম্পেইন থেকে গাড়ি চালকদের প্রতি যানজটে অযথা হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর সামনে হর্ন না বাজানোর অভ্যাস করা, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ মেনে চলা, গাড়িতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার না করা, নো-হর্ন সাইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, যত্রতত্র গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি আহ্বান জানানো হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসডব্লিউ