Thursday 24 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিশাল সিটি মেয়র ঘোষণার মামলার শুনানি পেছাল, আদালতের সামনে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪৬

আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকরা।

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেছেন। এ মামলার শুনানির দিন ছিল আজ (বৃহস্পতিবার)। তবে আদালত আজকের শুনানি পিছিয়েছে। শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ৫ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শুনানির দিন ঘোষণা থাকায় সকাল থেকেই বরিশাল নগরীর সদর রোড ও ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় চরমোনাই পীরের অনুসারী এবং ইসলামী আন্দোলনের শতাধিক কর্মী-সমর্থকরা আদালতের সামনে অবস্থান নেন।

বিজ্ঞাপন

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আদালতের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে অবস্থান নেন ও বিক্ষোভ করেন তারা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির বলেন, ‘আজ আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে শুনানির নতুন দিন ৫ মে ধার্য করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, আদালত সত্যের পক্ষে রায় দেবেন।’

এর আগে, ১৭ এপ্রিল বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করীম। মামলায় নৌকা প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপসও নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নিজেকে মেয়র ঘোষণার দাবি জানিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন। তার মামলায়ও নৌকা, হাতপাখা ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিবাদী করা হয়েছে। মামলাটি আদেশের জন্য পরবর্তী তারিখে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান।

বিজ্ঞাপন

ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘২০১৮ ও ২০২৩ সালের দুই নির্বাচনেই আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। এবার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হন। ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। ওই দিন দুপুরে ফয়জুলের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অবস্থান ছিলেন তৃতীয় নম্বরে। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ছয় হাজার। তিনি জামানত হারিয়েছিলেন।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

আদালতের সামনে বিক্ষোভ বরিশাল সিটি মেয়র মামলার শুনানি পেছাল