মেসির বিশ্বজয়ের মাঠে আফঈদাদের স্বপ্ন পূরণ
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪১ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৪৮
কাতারে আর্থনা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হয়েছিলেন বাংলাদেশের ৪ নারী ক্রীড়াবিদ। এদের মধ্যে দুজন নারী ফুটবল দলের সদস্য আফঈদা খন্দকার এবং শাহেদা আক্তার রিপা। ছিলেন দুই নারী ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা। দেশে ফিরে আজ (শুক্রবার) বিকেল ৫টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে চার ক্রীড়াবিদ জানিয়েছেন তাদের কাতার সফরের অভিজ্ঞতা। সেখানেই নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা জানিয়েছেন, কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ঘুরে দেখতে পেরে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় লুসাইল স্টেডিয়ামে, সেখানেই টানটান উত্তেজনার মেগা ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা তুলে আর্জেন্টিনা। মেসি পেয়ে যান তার আরাধ্য বিশ্বকাপ।
সেই মাঠের ঘাসে হেঁটেছেন কাতার সফরে যাওয়া চার নারী ক্রীড়াবিদ। যে ড্রেসিংরুমে মেসি-ডি মারিয়ারা ওয়ার্ম আপ করেছিলেন ফাইনালের আগে, সেখানে গিয়ে মুগ্ধ নয়নে সব দেখেছেন তারা। যে টানেল দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন দল নিয়ে, সেখানেও পা পড়েছে আফঈদা-শারমিনদের।
নিজের সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা বলেন, ‘আসলে বলে বুঝানোর মতো না। মেসি যখন টুক টুক করে হেঁটে বিশ্বকাপটা তুলে ধরেছিল, সেই মুহূর্তটা চোখে ভাসছিল। ফাইনালের আগে ড্রেসিংরুমে যেখানে প্র্যাক্টিস-ওয়ার্ম আপ করেছিল, সেখানেও গিয়েছি।স্বপ্নের মতো লাগছিল সব।’
আফঈদার মতোই উচ্ছ্বাস ছিল রিপার কন্ঠেও। অল্প কথায় সাফজয়ী নারী ফুটবলার জানিয়ে দেন নিজের কাতার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও।
গত ২১ এপ্রিল, সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে পা রাখেন ৪ নারী ক্রীড়াবিদ। দোহায় আর্থনা সম্মেলন চলাকালীন এক ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের নারী খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখ হিন্দ বিনত হামাদ আল থানি। বাংলাদেশের চার নারী ক্রীড়াবিদও নিজেদের চাওয়া, স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও থানির কাছে।
এ নিয়ে দেশে ফিরে আফঈদা বলেন, ‘কাতার সফরের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যখন প্রথম আমরা সরকারপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখন প্রধান উপদেষ্টা স্যার কাতার সফরে আমাদের কি করণীয় সেটি খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কাতারের কাছে তুলে ধরা। আমরা সেই চেষ্টা করেছি।’
কাতারের এই সফরে দেশটির ক্রীড়া কাঠামোর সবই ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন আফঈদা-সুমাইয়ারা। মূলত কাতার ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানেই লুসাইল স্টেডিয়াম, কাতারের স্কুল ক্রিকেট প্রজেক্ট, পিএসজির একাডেমির যাবতীয় কার্যক্রম দেখে এসেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা।
সারাবাংলা/জেটি/এফএম