Sunday 27 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দ্রুত পাসের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০০ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৮

তামাকবিরোধী শিক্ষক ফোরাম, মায়েদের ফোরাম এবং তরুণ ফোরামের সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দ্রুত পাস করার জোর দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী শিক্ষক ফোরাম, মায়েদের ফোরাম এবং তরুণ ফোরাম।

শনিবার (২৬ এপ্রিল ) বিকেলে ঢাকার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি উত্থাপন করেন। তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহ ক্ষতি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস না করলে জনস্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব হবে না।

তামাক বিরোধী মায়েদের ফোরামের আহ্বায়ক শিবানী ভট্টাচার্য জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীদের প্রায় অর্ধেক (৪৯.০ শতাংশ ) রেস্তোরাঁয় এবং ৪৪.০ শতাংশ গণপরিবহণে পরোক্ষ ধূমপানে আক্রান্ত হন। এতে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পরোক্ষ ধূমপান নারীদের জন্য গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। অপরদিকে, শিশুদের ক্ষেত্রে এটি শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা, অ্যাজমা, বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকি নবজাতকদের ক্ষেত্রে হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।’

তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক ড. খালেদা ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকাল তরুণ সমাজ তামাক পণ্যের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা তাদের পড়াশোনা ও মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (১৩-১৫ বছর) মধ্যে ৬.৯শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো না কোনো ধরনের তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করে থাকে, যার মধ্যে ছেলেদের হার ৯.২ শতাংশ এবং মেয়েদের হার ২.৮ শতাংশ। এই চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বর্তমানে তামাক কোম্পানিগুলো নতুন নতুন কৌশলে ই-সিগারেটের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করছে। এই ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং তরুণদের নেশাগ্রস্ত করে তুলছে। ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

সভার মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন নারী মৈত্রীর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাসরিন আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকের কারণে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) আলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাস করা জরুরি।’

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ স্বেচ্ছাসেবকসহ তামাকবিরোধী মায়েদের ফোরাম, শিক্ষক ফোরাম এবং তরুণ ফোরামের প্রতিনিধিরা।

সারাবাংলা/এফএন/পিটিএম

আইন তামাক নিয়ন্ত্রণ ধূমপান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর