পেহেলগামে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২০ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৫৭
কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় কয়েক দিন পর স্বাধীনতাকামীদের সহায়তাকারী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘পেহেলগামের ঘটনার সঙ্গে টিআরএফের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, তড়িঘড়ি করা এবং কাশ্মীরি প্রতিরোধ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার একটি সাজানো প্রচারণার অংশ।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টিআরএফ জানিয়েছে, ‘পেহেলগামে হামলার পরপরই আমাদের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ও অনুমোদনহীন বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এটি একটি পরিকল্পিত সাইবার অনুপ্রবেশের ফলাফল, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচিত কৌশলের অংশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের অতীত কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেছে গোষ্ঠীটি। তারা বলেছে, ‘২০০০ সালে ভারতীয় বাহিনী পরিকল্পিতভাবে চাট্টিসিংপুরা হত্যাকাণ্ড ঘটায়, যেখানে নির্মমভাবে ৩৫ জন শিখকে হত্যা করা হয়। পরে এর দায় মিথ্যাভাবে “উগ্রপন্থীদের” ওপর চাপিয়ে কাশ্মীরে সামরিক দমন-পীড়ন জোরদার করা হয়।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার ঘটনাও ঘটেছিল, যার পর বিশাল সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে সেই ঘটনার পেছনে অভ্যন্তরীণ মদদের অভিযোগও ওঠে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা—যা ভারতের নির্বাচনের ঠিক আগে পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপানো হয়। অথচ পরে ভারতেরই সাবেক গভর্নর সত্য পাল মালিক ওই ঘটনার গাফিলতি ও রাজনৈতিক ধামাচাপার বিষয়টি ফাঁস করেন।’
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন। নিহতদের অধিকাংশই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক, একজন ছিলেন নেপালের নাগরিক। একে ২০০০ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সশস্ত্র হামলা মনে করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইআ