জুলাই শহিদ জসীম উদ্দিনের মেয়ের দাফন আজ
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২১ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৯
পটুয়াখালী: জেলার দুমকিতে জুলাই অভ্যুত্থান এর শহিদ জসিম উদ্দিনের কবরের পাশেই মেয়ে লামিয়া আক্তারকে (১৭) আজ সন্ধ্যায় জানাজা শেষে দাফন করা হবে। এর আগে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী লামিয়া। পরে ঢাকায় নিজেদের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৭টায় পাঙ্গাসিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’ ইতোমধ্যে দাফনের জন্য দাদার বাড়ি পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ধোপার হাটে কবর খোঁড়া ও জানাজার স্থান প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আজ সন্ধ্যায় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন লামিয়ার স্বজনরা।
এর আগে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েন স্বজনসহ এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: জুলাই শহিদ জসীম উদ্দিনের মেয়ের আত্মহত্যা
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে, দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মৃতের পরিবারের দাবি, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন লামিয়া। সামাজিক লজ্জা, অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি করে। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে তার পরিবারের ধারণা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন তার স্বজনসহ স্থানীয়রা।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ