ভ্যাটিকানে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৩ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫৬
ভ্যাটিকানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ভ্যাটিকানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ বন্ধের ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের সময় সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় উভয় নেতাকে গভীর আলোচনায় দেখা যায়।
রোম ত্যাগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, মস্কোর কিয়েভে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি সন্দেহ করছেন, পুতিন তাকে কেবল সময় ক্ষেপণ করছেন। নাগরিক এলাকায় মিসাইল ছোড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
হোয়াইট হাউস জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রায় ১৫ মিনিটের এই বৈঠককে খুব ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেছে। জেলেনস্কি বৈঠকটিকে ঐতিহাসিক সম্ভাবনাময় বলে মন্তব্য করেছেন। এটি ছিল ফেব্রুয়ারির উত্তপ্ত হোয়াইট হাউস বৈঠকের পর ট্রাম্প ও জেলেনস্কির প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ।
নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে ট্রাম্প আরও লিখেছেন, রুশ হামলা আমাকে ভাবতে বাধ্য করছে যে হয়তো তিনি (পুতিন) যুদ্ধ থামাতে চান না। সম্ভবত তাকে ব্যাংকিং বা সেকেন্ডারি স্যাংশন-এর মতো ভিন্ন পন্থায় মোকাবিলা করতে হবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে তিন ঘণ্টার আলোচনার পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ক্রেমলিনও নিশ্চিত করেছে, পুতিন শর্তহীন আলোচনায় প্রস্তুত আছেন।
এর আগে হোয়াইট হাউসে শেষ বৈঠকে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেছিলেন, ‘তোমার হাতে জয়ের তাস নেই।’ চলতি সপ্তাহেও ট্রাম্প একই বক্তব্য পুনরায় দেন এবং ইউক্রেনকে যুদ্ধ শুরুর জন্য দায়ী করেন। তিনি একাধিকবার জেলেনস্কির প্রতি শান্তি আলোচনায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহাও এক টুইটে লিখেছেন, ‘এই ঐতিহাসিক বৈঠকের গুরুত্ব বর্ণনার জন্য কোনো শব্দের প্রয়োজন নেই।’
যদিও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় বৈঠকের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, তবে এদিকে ট্রাম্প দ্রুত রোম ত্যাগ করেন। জেলেনস্কি পরবর্তীতে ভিলা বোনাপার্তে ফরাসি দূতাবাসে মাক্রোঁর সঙ্গে এবং ভিলা উলকনস্কিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
মাক্রোঁ পরে এক পোস্টে লেখেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের একটি অভিন্ন লক্ষ্য।’ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, স্টারমার ও জেলেনস্কি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনে অগ্রগতির কথা আলোচনা করেছেন।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির হোয়াইট হাউস বৈঠকে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে সতর্ক করে বলেছিলেন, শান্তি পরিকল্পনায় সায় না দিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ট্রাম্প ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা, বিশেষ করে ক্রিমিয়া, ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছেন, যদিও জেলেনস্কি এ দাবি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সারাবাংলা/এনজে