Sunday 27 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অপহরণের ১ মাস পর রেজাউলের মরদেহ সাতক্ষীরা থেকে উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪০ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪৩

মরদেহ। প্রতীকী ছবি

যশোর: যশোর থেকে অপহরণের এক মাস চার দিন পর দর্জি রেজাউল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যশোরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম গত মার্চ মাসের ২২ তারিখে অপহৃত হন। এ বিষয়ে শনিবার (২৬ এপ্রিল) অপহৃত রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ বেগম কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের সবুজের শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি টিম লাশ নিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

বিজ্ঞাপন

আরও জানা যায়, আসামি সবুজ ও রিপন যশোর শহরেই রেজাউলকে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ইজিবাইকে কিছু দূর নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ও পরবর্তীতে বাসে করে সাতক্ষীরায় পাঠায়। সবুজ মরদেহটি তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাগানে পুঁতে রাখে। কয়েকদিন পর বিষয়টি জানতে পেরে সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লা মরদেহ উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখে। পুলিশের অভিযানে বিকেলে ওই বাগান থেকেই রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকেও আটক করেছে পুলিশ।

নিহত রেজাউলের পরিবার ও পুলিশ জানায়, রেজাউল ইসহাক সড়কে একটি দর্জির দোকান চালাতেন। তার দোকানের পাশেই ছিল আসামি সবুজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তারা। সম্প্রতি রেজাউল জমি বিক্রি করে বেশ কিছু টাকা পান। এই টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করে সবুজ ও রিপন। সে হিসেবে তারা রেজাউলকে অপহরণ করে হত্যা করে।

এদিকে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার একমাস পর কুলকিনারা না পেয়ে গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহত রেজাউলের স্ত্রী মমতাজ বেগম। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার কুড়ি কাওনিয়া গ্রামের হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল এবং যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা রেজাউলকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে, সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে ঘটনার মূল রহস্য।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্রিফ করবেন। তবে তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এনজে

অপহরণ মরদেহ সাতক্ষীরা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর