Sunday 27 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাশ্মীরে সন্দেহভাজন স্বাধীনতাকামীদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৭ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৪১

সন্দেহভাজন স্বাধীনতাকামী আশিফ শেখের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী বেসামরিক হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পেহেলগাম হামলার সন্দেহভাজনদের বাড়িঘর বুলডোজার ও আইইডি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে প্রচারিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতশাসিত কাশ্মীরজুড়ে বিশাল অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে দুই সন্দেহভাজন স্বাধীনতাকামীর বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর সদস্য। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সন্দেহভাজন আসিফ শেখের বোন ইয়াসমিনা জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে কাশ্মীরের দক্ষিণ ত্রাল এলাকায় সেনারা তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। একজন সৈনিক আমাদের মাটির বেড়া টপকে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর একটি বিশাল বিস্ফোরণে পুরো বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। বাড়ির ভেতরের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।’ তবে বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে কেউ উপস্থিত ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে বিজবেহারা এলাকায় আরেক সন্দেহভাজন আদিল হুসাইন ঠোকারের বাড়িও একইভাবে ধ্বংস করা হয়।

এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘উভয় সন্দেহভাজন গত তিন-চার বছর ধরে সক্রিয় এবং টিআরএফ-এর সদস্য। এর আগেও তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় যুক্ত ছিল।’

পুলিশ প্রতিটি সন্দেহভাজনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লাখ রুপি (প্রায় ২৮ লাখ ৪৬ হাজার বাংলাদেশি টাকা) পুরস্কারের ঘোষণা করেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ এপ্রিল) আল জাজিরার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত পেহেলগাম হামলার পর বিদ্রোহীদের অন্তত ৯টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে ভারতীয় সেনারা। এছাড়া সেনারা তাদের অভিযানে সন্দেহভাজনদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, এই ধরনের বাড়ি ভাঙা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশের লঙ্ঘন। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে, কোনো বাড়ি ভাঙার আগে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে এবং নোটিশ প্রদান করতে হবে।

অধিকারকর্মীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে কাশ্মীরে সম্মিলিত শাস্তির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তির স্বজনের বাড়ি ধ্বংস করা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।

সারাবাংলা/এনজে

কাশ্মীর বাড়ি ভাঙা ভারতীয় সেনা সন্দেহভাজন স্বাধীনতাকামী