‘আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ফল্টের কারণে ২১ জেলায় ব্লাকআউট’
২৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫৬ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০০:১৯
ঢাকা: আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ফল্টের কারণে খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহম্মদ ফাওজুল কবির। তিনি বলেন, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ যেটা দেখেছে- আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল লাইনে একটা ফল্ট হয়েছে। দু’টি তার একত্রিত হওয়ায় এই ফল্ট তৈরি হয়। এতে বিদ্যুৎ জেনারেশন ইউনিটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। রোববার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে এ নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা।
এ সময় জানানো হয়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনে ফল্ট সংঘটিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের যশোর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া উপকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ১০টি জেলায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) সাময়িক বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। তবে ২৩০ কেভি ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা-ঝিনাইদহ লিঙ্কটি চালু থাকায় ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি লেভেলে সংযুক্ত ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রগুলো চালু ছিল। এই ২৩০ কেভি লিঙ্ক ব্যবহার করে পাওয়ার গ্রিডের এনএলডিসি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় দক্ষতার সঙ্গে যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া উপকেন্দ্রগুলো চালু করা হয়। ফলে ওই এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
অন্যদিকে, ৪০০ কেভি আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ডাবল সার্কিট লাইনের সংঘটিত ফল্টে ১৩২০ মেগাওয়াট বিসিপিসিএল (পায়রা), ১৩২০ মেগাওয়াট আরএনপিএল, ৩০৭ মেগাওয়াট বরিশাল ইলেকট্রিক, ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল, ২২৫ মেগাওয়াট ভোলা নতুন বিদ্যুৎ ও ২২৫ মেগাওয়াট ভোলা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্লক-২ ট্রিপ করে প্রায় ২২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিচ্যুতি ঘটে। পরে এটিও চালু হয়।
উপদেষ্টা বলেন, এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দুই হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটের সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে এখন আর কোনো সমস্যা নেই বলেও জানান ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আমরা জানতে চাইব। সেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে কি না বা না হলে কেন হয়নি এ বিষয়গুলোও কমিটি দেখবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার জন্য সরকার ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে। এখন আমরা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থ সহায়তায় দু’টি স্থানে এটা করছি। একটি ঈশ্বরদীতে ৩০ মেগাওয়াট, আরেকটি ভুলতায় ৯০ মেগাওয়াট।’ বিদ্যুতের স্ট্যাবিলিটি নিয়ে তারা উদ্বিগ্নও বলে জানান।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম
২১ জেলায় ব্লাকআউট আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ফল্ট মুহম্মদ ফাওজুল কবির