শহিদ জসিম উদ্দিনের মেয়েকে ধর্ষণ
বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত মেয়ে
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৪ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:২৩
পটুয়াখালী: বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষনের শিকার লামিয়া (১৭)।
রোববার (২৭ এপ্রিল) মাগরিবের পরে পাঙ্গাশিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
মৃত লামিয়ার জানাজায় অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এর আগে, শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েন স্বজনসহ এলাকাবাসী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে, দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মৃতের পরিবারের দাবি, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন লামিয়া। সামাজিক লজ্জা, অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি করে। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে তার পরিবারের ধারণা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন তার স্বজনসহ স্থানীয়রা।
লামিয়ার দাদা আবদুস সোবাহান বলেন, ‘আমার নাতনী যাদের কারণে আত্মহত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। আর যেন কারো সঙ্গে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ