প্রমাণ ছাড়া হয়রানি করা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বিরত থাকার আহ্বান
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:৩৩
খুলনা: খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিনা উস্কানিতে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ অভিযানের নামে তাণ্ডব চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা একটি বিশেষ গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এ ধরনের হয়রানি সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে।
কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এ ধরনের হয়রানি করা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের নগরীর খানজাহান আলী অর্ন্তগত ফুলবাড়ি গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বক্তারা বিনা উস্কানিতে খানজাহান আলী থানার অন্তর্গত ওয়ার্ড ইউনিয়নগুলোর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী কায়দায় পুলিশের তাণ্ডব, বিনা অপরাধে যুবদল নেতা মামুন ভূঁইয়া পপনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে প্রশাসনের ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যে সমস্ত ক্যাডার এখনো চাকরিতে বহাল আছে তাদেরকে চাকুরিচ্যুত এবং গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
অ্যাড. মনা বলেন, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য পুলিশ সদস্যরাই দায়ী থাকবেন। বিএনপির ঘুরে দাঁড়ালে অসাধু পুলিশ সদস্যরা পালানো পথ খুঁজে পাবে না। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতার মামুন ভূঁইয়া পপনের মুক্তি দাবি করেন।
কয়েকদিন ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে পুলিশি অভিযানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, খুলনার শান্তিপুর্ণ পরিবেশকে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য অশান্ত করার পায়তারা করছেন। ভবিষ্যতে রাজপথেই সকল অন্যায়-অপরাধের ফায়সালা হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে সামনে এগোনো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, খুলনা সদর থানা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরিদ মোল্লা প্রমুখ।
সারাবাংলা/এইচআই