প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি
শেখ হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের গ্রেফতার বিষয়ে প্রতিবেদন ১২ মে
২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫৬ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৭
ঢাকা: রাজউকের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ দিন ঠিক করেন।
আসামিদের গ্রেফতার করা গেল কিনা, সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ। তবে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারায় পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
এর আগে, ১৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
অন্য আসামিরা হলেন— গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সদস্য শফি উল হক, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতায় থাকতে তথ্য গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে। নিজের দফতরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কর্মচারীদের প্রভাবিত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি।
পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক আটটি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়।
সারাবাংলা/আরএম/ইআ