রংপুর: নীলফামারীর ইপিজেড এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সুইটি আক্তার (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তার ছোট বোন তাজকিনা আক্তার (১৯) দগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুইটি মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহীন শাহ।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের হাজীপাড়া মসজিদ সংলগ্ন একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের সুইটি আক্তার ও তাজকিনা আক্তার। তারা দু’জনই উত্তরা ইপিজেডের সেকশন সেভেন কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।।
মৃত সুইটি নীলফামারী মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত তাজকিনা ডোমার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে স্নাতক ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা ডোমারের বাবুল হোসেন ও ফাতিমা দম্পতির মেয়ে। নীলফামীর ইপিজেড মোড়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে থেকে তারা ইপিজেডে কাজ করে পড়ালেখা করতেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এদিকে, বেলা ১২টার দিকে নীলফামারীর ইপিজেডের ভেতরে সনি বিডি লিমিটেড নামে কারখানায় একটি মেশিনে বিস্ফোরণে কর্মচারী লিটন চন্দ্র রায় ও রবিউল ইসলাম দগ্ধ হন। তাদেরও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রান্নার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। এতে সুইটি আক্তার ও তাজকিনা আক্তার অগ্নিদগ্ধ হন। পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন।
ডা. শাহীন শাহ বলেন, দগ্ধ সুইটি মারা গেছেন। তার শরীরের ১০০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তার ছোট বোনেরও শতভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এ ছাড়াও অপর ঘটনায় দগ্ধ লিটন ও রবিউলের ৩০ ভাগ পুড়েছে। আমরা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।