গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল হাসিনা: মির্জা ফখরুল
২৯ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪৩ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১২
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণসংযোগ কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: সারাবাংলা
ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আজকে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারতেছি। কিন্তু কিছুদিন আগেও একটু বেকায়দায় কথা বললেই চাপিয়ে দিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। যার মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল এই হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জন্মের আগেই অনেক শিশুর বাবাকে গুম করে রেখেছে। বড় হয়ে বাবার সঙ্গে স্কুলে যেতে চায় সেই শিশুটি। কিন্তু বাবার কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। এরকম ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল হাসিনা। এই ১৫ বছরে তারা বাংলাদেশকে পুরো জাহান্নামে পরিণত করেছে। এই বাংলাদেশের মানুষ তাকে তাড়া করবে না কেন। খারাপ কাজ না করলে তো মানুষ তাকে তাড়া করতো না। হাসিনা যে কর্ম করেছে আল্লাহ তার শাস্তি দিয়েছে। দেশ থেকে পালানোর সময় তিনি পাননি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি আর দেশে ফিরে আসতে পারেন নি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাসিনা সরকার দেশের সমস্ত টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে ফাঁকা করে দিয়েছে তারা। এই ১৫ বছরে টাকা ছাড়া কোন চাকরি হতো না, বিএনপি করলেও চাকরি হতো না। শুধু চাকরি না ব্যবসা বাণিজ্যেও বিএনপি কর্মীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।’
মিথ্যা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের দ্বারা আমাদের সমস্ত ভাইবোনদের অস্থির করে রেখেছিল। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে প্রতিহত করে রাখা হয়েছিল। জেলে যায়নি এমন নেতার সংখ্যা কম। যারা যত বেশি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে তত বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মাসের পর মাস নিজের বাড়িতে থাকতে পারে নি। অনেক কষ্ট করেছে।’
আওয়ামী লীগকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হাসিনা চেয়েছিল বাংলাদেশের জনগণ যেন কথা বলতে না পারে। তিনি সারাজীবন যেন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে। এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছিল। ১৫টা বছর এই আওয়ামী লীগের হাসিনা সরকার সারা দেশের মানুষের ওপরে অসংখ্য অত্যাচার করেছে। যাকেই তারা মনে করেছিল যে আওয়ামী লীগের জন্য কাজে লাগবে না তাকেই আয়না ঘরে রেখে বছরের পর বছর তাদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা জানে না তাদের বাবা কোথায়।’
গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন সহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সারাবাংলা/এমপি