Wednesday 30 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আসছে স্টারলিংক, প্যাকেজ নিয়ে বাড়ছে গ্রাহক কৌতুহল

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০০

স্টারলিংক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশে আগামী মে মাসের মধ্যে ‘কারিগরিভাবে’ চালু হতে পারে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। বাংলাদেশে সেবা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে সবধরনের লাইসেন্স হাতে পেয়েছে। সেবা চালু করতে যেসব প্রস্তুতি লাগে সেগুলোও এগিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে উচ্চগতির এই ইন্টারনেটের মূল্য কত হতে পারে- তা নিয়ে সবার মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে।

সম্ভাব্য সূত্র বলছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় পাওয়া যেতে পারে স্টারলিংকের সেবা। তবে প্রতিষ্ঠানটি এখনো বাংলাদেশে তাদের প্যাকেজ ঘোষণা করেনি। প্রতিষ্ঠানটির মাসিক সেবা মূল্য নিয়ে সবার মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্টারলিংকের ঘোষিত প্যাকেজের ওপর নির্ভর করবে দেশে এর প্রকৃত প্রভাব। প্রতিষ্ঠানটির সেবা শুরু হলে দেশের ইন্টারনেট খাতে আরও প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। ইন্টারনেটের আওতায় আসবে দুগর্ম এলাকার মানুষেরাও। ইন্টারনেট খাতও অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছাবে।

বিজ্ঞাপন

স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা দ্রুত চালু করতে সবধরনের সহায়তা দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্পেসএক্সের সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানকে এরই মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সোমবার (২৮ এপ্রিল) স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর দুটি লাইসেন্স হাতে পেয়েছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের এই কোম্পানি।

এদিকে দেশে কারিগরিভাবে আগামী মে মাসের মধ্যে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্পেসএক্স’র গ্লোবাল এনগেজমেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার। গেল বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে ওই বৈঠকে ড্রেয়ার বলেন, তারা বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালুর প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছেন। আগামী মে মাসের মধ্যে এটি কারিগরিভাবে চালু করতে তার টিমকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তথ্য বলছে, দেশীয় ইন্টারনেটের তুলনায় স্টারলিংকের ইন্টারনেট খুবই ব্যয়বহুল। স্টারলিংকের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্যও ছয় হাজার টাকার বেশি। বাসাবাড়িতে স্টারলিংকের ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন প্যাকেজেকেও মাসিক খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা।

স্টারলিংকের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য স্টারলিংকের রেসিডেনশিয়াল লাইট প্যাকেজের মূল্য ৮০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমানে ৯ হাজার ৭১১ টাকা (১২১.৩৯ টাকা হারে)। রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজ মূল্য ১২০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। স্টারলিংকের রম (রোমিং) ৫০ জিবি প্যাকেজের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ ডলার। রম (রোমিং) আনলিমিটেড প্যাকেজের মূল্য ১৬৫ ডলার, দেশীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ৭০ টাকা। এছাড়া, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বনিম্ন ৬৫ ডলার থেকে ২ হাজার ১৫০ ডলার পর্যন্ত প্যাকেজ রয়েছে। লোকাল প্রায়োরিটি নামের প্যাকেজে ১ টেরাবাইট প্যাকেজের মূল্য ২৯০ ডলার ও ২ টেরাবাইট প্যাকেজে খরচ পড়বে ৫৪০ ডলার।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ভুটান ও আফ্রিকাতে তাদের সেবা চালু করেছে। ভুটানে রেসিডেনশিয়াল ফিক্সড ইন্টারনেটের জন্য খরচ পড়ে প্রতি মাসে ৪ হাজার ২০০ ভুটানিজ গুলট্রাম, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ হাজার ৮০০ টাকার মতো। আর আফ্রিকায় বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকায় সেবা দিচ্ছে স্টারলিংক- এমনটি জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে যুক্ত এমন কয়েকজন জানান, স্টারলিংক কখনোই আগে থেকে তাদের প্যাকেজ ঘোষণা করে না। হঠাৎ করেই প্রতিষ্ঠানটি প্যাকেজ ঘোষণা করে থাকে। বাংলাদেশে তাদের সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে থাকতে পারে।

গেল বছরের ডিসেম্বরে সারাবাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশে যেখানে হাজারখানেক টাকায় সংযোগ এবং মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় মোটামুটিমানের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায় সেখানে ব্যক্তিগত ব্যবহারের স্টারলিংক যন্ত্রের (স্ট্যান্ডার্ড কিট) এককালীন দামই পড়বে প্রায় ৪২ হাজার টাকা (৩৪৯ মার্কিন ডলার)। আর প্রতি মাসে গ্রাহক ফি হিসেবে দিতে হবে সাড়ে ১৪ হাজার টাকার মতো (১২০ ডলার)। এই প্যাকেজ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২৫-১০০ মেগাবাইট গতির ইন্টারনেট মিলবে। বাংলাদেশের লোকাল আইএসপিগুলো বাসাবাড়িতে সাধারণত ৫ থেকে ৩০ মেগাবাইট গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করে থাকে।

তথ্যমতে, স্টারলিংকের একটি কানেকটিং প্যাকেটে স্টারলিংক রিসিভার, কিকস্ট্যান্ড, রাউটার, তার ও পাওয়ার সাপ্লাই থাকে। স্টারলিংকের অ্যান্টেনা ইলেকট্রনিক ফেজড অ্যারে, যা ১১০ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁকানো যায়। এর ওজন প্রায় ২ কেজি ৯০০ গ্রাম, কিকস্ট্যান্ডসহ ৩ কেজি ২০০ গ্রাম। এতে আছে এনভায়রনমেন্টাল রেটিং আইপি ৬৭ টাইপ ৪ অ্যান্টেনা, যা হিমাঙ্কের নিচে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং হিমাঙ্কের ওপরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেশ কাজ করে। স্টারলিংক চালাতে শক্তি খরচ হয় ৭৫ থেকে ১০০ ওয়াট। স্টারলিংক ওয়াই–ফাই রাউটারের সঙ্গে ২৩৫টি যন্ত্র যুক্ত করার সুযোগ আছে।

এদিকে দেশে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে স্টারলিংক। গেল ৯ এপ্রিল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় স্টারলিংকের সেবা। সম্মেলনে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) স্টলে বিশেষ কিউআর কোড ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা বিনা মূল্যে স্যাটেলাইট-চালিত ইন্টারনেট প্রযুক্তির গতি পরীক্ষার সুযোগ পান। সেবাগ্রহীতারা বলছেন, ইন্টারনেটের ওই গতি ছিল অবিশ্বাস্য।

যা বলছেন খাতসংশ্লিষ্টরা

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে প্রচলিত ইন্টারনেট ফাইবার কানেকশনের ওপর নির্ভর করছে। অনেক সময় ফাইভার কানেকশট কেটে যায়। স্টারলিংকের কানেকশন কেটে যাওয়ার ভয় নেই। যারা করপোরেট কানেকশন নেয়, বিশেষত যাদের সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রয়োজন। তাদের জন্য এটি ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করতে পারে। কোনো কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তখন স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা যাবে।’

স্টারলিংকের প্যাকেজ মূল্য বেশি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করবে স্টারলিংকের মূল্যের ওপর। যদি স্টারলিংক বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোনো প্যাকেজ ঘোষণা দেয়, তাহলে স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। তবে বৈশ্বিকভাবে তাদের যে প্যাকেজ রয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যদি একই প্যাকেজ প্রযোজ্য হয়, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের খুব বেশি উপকার হবে না। বাংলাদেশের জন্য যদি স্টারলিংক একটি স্পেশাল প্রাইজিং মডেল করে, যেখানে আমাদের নেটওয়ার্ক ভালো নেই, বিশেষ করে দুর্গম এলাকা, সেখানকার মানুষরাও তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। তবে, জরুরি সেবার ক্ষেত্রে বিশেষত দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় স্টারলিংক খুবই উপকার বয়ে আনবে।’

স্টারলিংক আসায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি)’র সভাপতি আমিনুল হাকিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকার থেকে কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় প্রতিটিস্তরে খরচ কিছুটা কমবে। এ কারণে ইন্টারনেট সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের ইচ্ছা ও প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকের কথা চিন্তা করেই ইন্টারনেটের দাম কমানো হচ্ছে। স্টারলিংক আসছে, এমন কারণে ইন্টারনেটের দাম কমছে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ব্রডব্যান্ডের ইন্টারনেটের দু’ধরনের গ্রাহক রয়েছে- বাসাবাড়ি ও কর্পোরেট। আমরা বাসাবাড়িতে যে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকি, সেখানে গ্রাহকদের গড় খরচ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা। কিন্তু স্টারলিংকের প্যাকেজের মূল্য অনেক। ভুটান ও আফ্রিকাতে স্টারলিংক যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশি ইন্টারনেট গ্রাহকের গড় খরচের তুলনায় তা অনেক বেশি। আফ্রিকাতেও স্টারলিংকের ঘোষিত প্যাকেজের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা, এই টাকায় বাংলাদেশের সাধারণ গ্রাহকরা ইন্টারনেট নিতে পারবে না। ফলে স্টারলিংক আসার প্রভাবে বাসা-বাড়িতে আমাদের গ্রাহক খুব একটা কমবে না। তবে করপোরেট ক্যাটাগরিতে বিশেষত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পঞ্চলগুলোতে আমাদের গ্রাহক কিছুটা কমতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে স্টারলিংকের ঘোষিত প্যাকেজের ওপর।’

জানতে চাইলে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্টারলিংক আসা দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট জগত নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে। দেশীয়ভাবে আমরা যারা ইন্টারনেট সেবা দিই, এতে তাদের মধ্যে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হবে। আমরাও আগের চেয়ে আরও কম দামে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ইন্টারনেটও ক্যাবলনির্ভর। হয়তো বাসার ছাদে এন্টেনা থাকল, সেখান থেকে ক্যাবল বাসায় আনতে হবে। ফলে ঝড়বৃষ্টির সময় হয়তো স্টারলিংকের ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কম পাওয়া যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্টারলিংক স্থানীয়ভাবে অফিস স্থাপন করে কি না সেটি একটি বিষয়। নতুনবা তাদের মাসিক বিল ডলারে দিতে হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশেই চলে যাবে। আবার গ্রামগঞ্জের সবার ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকে না, সেটি না থাকলে হয়তো বিল পরিশোধ করতে পারবে না। স্টারলিংক এলে বেশকিছু সম্ভাবনা তৈরি হবে, একইসঙ্গে বেশকিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দেবে।’

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই জানিয়েছিলেন, দেশীয় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। কমাতে হবে ইন্টারনেট খরচ। সে ধারবাহিকতায় দেশীয় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের কাছে বেশকিছু দাবি তুলে ধরে। বিভিন্ন স্তরে দাম কমানোর প্রস্তাব দেয়। সরকারের প্রতিশ্রুতিতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এরই মধ্যে ইন্টারনেটের বেশ কিছু স্তরে দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

দাম প্যাকেজ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্টারলিংক স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট

বিজ্ঞাপন

বায়ু দূষণে ৩য় ঢাকা
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর