করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব এফবিসিসিআই’র
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:২৯ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:০৮
ঢাকা: ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এছাড়া রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে করে পূর্বের ন্যায় দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষ্যে এফবিসিসিআই ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত রয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ব্যবসায়ীরাদের পক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজীজ রাসেল, রিহ্যাবের পরিচালক আইয়ুব আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন এফবিসিসিআই প্রশাসক হাফিজুর রহমান।
এফবিসিসিআই’র বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রশাসক হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রকৃত আয় বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিনিয়র সিটিজেন ও মহিলাদের জন্য ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে উৎপাদনকারীদের জন্য আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করছি।
বর্তমান আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী (যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, মাছ, মাংস, পিয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, মসুর, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভূট্টা, আটার, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা) সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে ১ শতাংশ হারে কর কর্তনের বিধান আছে। পাট কাঠি, বীজ, চা পাতাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যকে এবং তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টটিং-কে এই বিধানের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি। উৎসে কর কর্তনের হার প্রকৃত মুনাফার উপর প্রদেয় আয়করের তুলনায় অনেক বেশী। তাই উৎসে কর কর্তনের হার যৌক্তিকীকরন করার প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, উৎসে কর কর্তনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পিএসআর (রিটার্ণের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) সংগ্রহ না করলে ১০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান এবং খরচ অননুমোদিত হওয়ার বিধান অযৌক্তিক। তাই এ বিধান বাতিল করার প্রস্তাব করেন তিনি।
এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রফতানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ হতে হ্রাস করে পূর্বের ন্যায় দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব করছি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস