চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২৯ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১৩
ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিন্ময়ের পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। আগামী ৪ মে আসামির আইনজীবীর বক্তব্য শুনবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। এরপর আদেশ দেবেন তিনি।
এদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় চিন্ময়কে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক, আরশাদুর রউফ, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফরিদ উদ্দিন খান। তবে আসামির কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
বিকেলে চিন্ময়কে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনটি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল আমীন।
এর আগে, দুপুরে চিন্ময় দাসের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন নগরীর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান।
পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন জামিন চাইলে নামঞ্জুর করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
এ নিয়ে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই চিন্ময়কে কারাগারে নেওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে বন্ধ থাকে আদালতের কার্যক্রম।
পরে গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। সেদিনও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
সারাবাংলা/আরএম/এইচআই