Thursday 01 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই: শ্রমিক জোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ মে ২০২৫ ১৭:২৩ | আপডেট: ১ মে ২০২৫ ১৯:২৯

মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন জাসদের নেতারা। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: মহান মে দিবস উপলক্ষে লাল পতাকা সমাবেশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহযোগী শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক জোট।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জিপিও’র সামনে জাসদ চত্বরে লাল পতাকা সমাবেশ কর সংগঠনটি। সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা, প্রেসক্লাব এলাকায় লাল পতাকা নিয়ে মিছিল করে।

এই লাল পতাকা সমাবেশ ও মিছিলে ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের শিল্পাঞ্চল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক জোট, জাতীয় পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ ডেকোরেটরর্স শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ পরিবহন হকার্স জোট, জাতীয় নির্মাণ শ্রমিক জোট, গৃহকর্মী শ্রমিক জোট, লেটার এন্ড কালারস শ্রমিক জোট, মৎসজীবী শ্রমিক জোটের ব্যানারে কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মচারী লাল পতাকা, জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুনসহ এ লাল পতাকা সমাবেশ ও মিছিলে যোগ দেয়।

জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই লাল পতাকা সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক জোটের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরদার খোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন প্রমুখ।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাসদের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, সহ-সম্পাদক আলী হাসান তরুন, কোষাধক্ষ্য মো: মনির হোসেন, সদস্য সামছুল ইসলাম সুমন, যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন খান বাচ্চু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের(বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) সভাপতি রাশিদুল হক ননীসহ আরও অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় নাই বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে গুলি চালিয়ে, লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের মারা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলন, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে বলপ্রয়োগ করে বন্ধ করা হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবি তুললেই কল-কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসার কারণেও শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরেছে। শ্রমিকদের চাকুরি ও কাজের নিশ্চিয়তা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে কমে গিয়েছে।

বক্তারা বলেন, ‘শ্রমিক-কর্মচারী-শ্রমজীবী-মেহনতী মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই।’

বক্তারা বলেন, নূন্যতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, সকল ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরি ও কাজের নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার দাবিতে কারখানা-অঞ্চল-জাতীয় ভিত্তিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমপি

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) শ্রম দিবস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর