শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি শোষণ-বৈষম্যের শিকার হচ্ছে: রুহিন প্রিন্স
১ মে ২০২৫ ১৯:১৮ | আপডেট: ১ মে ২০২৫ ২৩:৩৯
ঢাকা: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি শোষণ-বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। দেশের রাজনীতি অর্থনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। অথচ এসব মানুষের কথা অনুচ্চারিত থেকে যায়।
বৃহস্পতিবার (১ মে) খুলনার সেনহাটি শিববাড়ি চত্বরে সিপিবি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কমরেড মৃণাল পালের সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সদস্য এস এম চন্দনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাশ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএ রশীদ, খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি এইচ এম শাহাদাত, জেলা সম্পাদকের সদস্য মিজানুর রহমান বাবু, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বপন, নিত্যানন্দ ঢালী, গাজী আফজাল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, উপজেলা কমিটির নেতা সাইদুল ইসলাম, সুখলাল বিশ্বাস, তারক দাশসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম স্লোগান হিসেবে সামনে এসেছিল বৈষম্য মুক্তির কথা। কিন্তু এখন আর এই শ্রমজীবী মানুষের বৈষম্য মুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। অথচ দেশে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষিত হয়নি। প্রকৃত কৃষক ফসলের লাভজনক দাম না পেলেও উৎপাদন অব্যাহত রেখে চলেছে। বিদেশে অবস্থানরত শ্রমজীবী মানুষ ওই দেশে মানবেতর জীবন যাপন করে, উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাচ্ছে। আর দেশের এক বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষ এই দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে ওই দেশকেই তাদের নিজেদের আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তুলছে।’
খুলনায় রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলসহ অন্যান্য বন্ধ কারখানা চালু না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমজীবী মানুষ জীবন দেয় অথচ তাদের অধিকার অর্জিত হয় না। তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের কাজের নিশ্চয়তার দাবি করেন।
জনসভার আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে পার্টির নেতা-কর্মীরা লাল পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেয়। জনসভা শেষে শিল্পী দাস কালিদাসসহ অন্যান্য শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমপি