ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
বৃহস্পতিবার (১ মে) ফক্স নিউজের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটি এখন মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভর করছে। উভয় পক্ষই এখন জানে শান্তির শর্ত কী। এখন তাদের একে অপরের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে এবং এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।এই যুদ্ধ কোথাও যাচ্ছে না এবং শিগগিরই শেষও হচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সামনে বড় প্রশ্ন হলো- কীভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে মধ্যপথ খুঁজে পাওয়া যায় যাতে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটানো যায়, যা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে।
এ মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ওয়াশিংটন ও কিয়েভ একটি চুক্তি সই করেছে, যার অধীনে ইউক্রেনের দুষ্প্রাপ্য খনিজ সম্পদের মুনাফা ভাগাভাগি করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার বিনিময়ে।
সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অবস্থানকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, ‘হ্যা, ইউক্রেনীয়রা ক্ষুব্ধ, কারণ তাদের দেশ আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি কয়েক মাইল ভূমির জন্য হাজার হাজার সৈন্য হারাতে থাকব?’
এদিকে, ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দেন যে, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন ক্রিমিয়া ত্যাগে রাজি হতে পারে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির বলেছেন, রাশিয়ার অধীনে ক্রিমিয়া স্বীকারযোগ্য নয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৮ মে থেকে বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনদিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এর পালটা জবাবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই সিবিহা ৩০ দিনের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তবে যুদ্ধবিরতির আহ্বানের মধ্যেও বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতেই রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জাপোরিঝিয়ায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, রাশিয়া অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন দক্ষিণাঞ্চলের একটি বাজারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে ৭ জন নিহত ও ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। কিয়েভ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, ওই হামলা শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে চালানো হয়েছে।