আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ, এখন দেশ গড়ার সময়: আমীর খসরু
২ মে ২০২৫ ২০:৩১ | আপডেট: ২ মে ২০২৫ ২৩:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খাল খননে নেমেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ কর্মসূচির উদ্বোধন করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ, এখন দেশ গড়ার সময়।
শুক্রবার (২ মে) সকালে নগরীর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওই ওয়ার্ডের নাজির খাল ও কালিরছড়া খাল উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে
খনন ও পরিষ্কার করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি স্লোগান আর বক্তৃতা নয় শুধু। এটা শহিদ জিয়ার রাজনীতি, উন্নয়নের রাজনীতি, উৎপাদনের রাজনীতি। তাই আমাদের খাল খননের মতো কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। কারণ, খাল খনন বিএনপির রাজনীতির অন্যতম পিলার।’
‘আন্দোলন-সংগ্রাম শেষ, এখন দেশ গড়ার সময়। দেশ গড়তে হবে, এজন্যই বিএনপির সৃষ্টি। দেশ গড়ার যত ফর্মুলা আছে এখন সেগুলোকে সামনে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি ওয়ার্ড থেকে দুটি খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো কাজ, মহৎ কাজ। তবে এটি যেন চট্টগ্রাম নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডেই হয়।’
‘খাল খনন মানে শুধু পানি নিষ্কাশন না, পানির যে স্রোত এটা নিশ্চিত করতে হবে। খালের আশেপাশে একটি ভিন্ন অর্থনীতি গড়ে তোলা যাবে। স্থানীয় মানুষদের জন্য একটা বিনোদনের জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে, তাদের হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করে দেওয়া যেতে পারে।’
চসিক মেয়রের প্রশংসা করে আমীর খসরু বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর সৌভাগ্য অনেকদিন পরে চট্টগ্রামে দক্ষ, সুযোগ্য, শিক্ষিত, সৎ একজন মেয়র এসেছে নেতৃত্ব দিতে। শাহাদাত রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রাম করে ওঠে এসেছে। খুব খারাপ সময়েও সে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাই এটা আমাদের জন্য একটা সুযোগ, এই সুযোগটা নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে একসময় ৭১টি গুরুত্বপূর্ণ খাল ছিল। এসব খাল ভরাট হয়ে যাওয়াই নগরীর জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ। এসব খাল খননের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হওয়ার কথা থাকলেও কিছু ব্যক্তির চক্রান্তে নিয়মবহির্ভূতভাবে এ কাজ সিডিএর হাতে চলে যায়।’
‘সিডিএ ৫৭টি খাল চিহ্নিত করলেও মাত্র ৩৬টি খাল খননের কাজ করছে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন মাত্র একটি খাল খনন করছে। ফলে অন্তত ২০টি অতি গুরুত্বপূর্ণ খাল খনন আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এর ফলে নগরবাসী এখনো জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।’
মেয়র আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সিডিএ ও চসিকের প্রধানরা খাল ও নালার ওপর মার্কেট, ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা খাল বা নালার ওপর থাকতে পারবে না।’
উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি রফিক উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলমের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
সারাবাংলা/আরডি/এইচআই