হেফাজতের সমাবেশে নেতাকর্মীর ঢল
৩ মে ২০২৫ ১১:৩৪ | আপডেট: ৩ মে ২০২৫ ১৬:২৬
ঢাকা: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশ আজ। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে এ মহাসমাবেশ করছেন তারা। এরইমধ্যে এই মহাসমাবেশে আসতে শুরু করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা। ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মহাসমাবেশ স্থলে পৌঁছেছেন।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে হেফাজতের শীর্ষ নেতারাসহ দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম মহাসমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
সমাবেশে যোগ দিতে ফজরের নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সকাল ৭টার আগেই মূল সমাবেশস্থলে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।
ঢাকার বাইরে থেকে আগতদের নির্ধারিত তিনটি পয়েন্ট ধরে সমাবেশস্থলে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। প্রশাসন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা সতর্ক আছেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢল।
হেফাজত নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এ মহাসমাবেশ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের ভাবনা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছে দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
সমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের রাস্তায় ও সবকটি প্রবেশ পথে নেতা-কর্মীদের চাপ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়া এ মহাসমাবেশ চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
দলটির পক্ষ থেকে দল-মত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষসহ সব পেশাজীবীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশকে ঘিরে মিছিল আসছে শাহবাগ, মতিঝিল, নীলক্ষেত, যাত্রাবাড়ী, কলাবাগান, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর থেকে। দোয়েল চত্বর, টিএসএসি, শাহবাগ, রমনা সংলগ্ন গেট দিয়ে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে প্রবেশ করছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে বাস-ট্রাকে চেপে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এতে যোগ দিয়েছে সমাবেশে।
হেফাজতের চার দফা দাবি:
১. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা।
২. সংবিধানে বহুত্বদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে।
৩. হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের কথিত হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে।
৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সারাবাংলা/এফএন/ইআ