স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ‘ফিজিওথেরাপির মতো যে পেশাগুলো মানুষের পুনর্বাসনের কাজ করে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে একটি প্রতিষ্ঠান থাকা জরুরি। স্বাস্থ্যসেবায় অন্যদের মতো ফিজিও থেরাপিস্টদেরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।’
শুক্রবার সকালে রিহ্যাবিলেটেশন প্রফেশনালদের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অটিজম ও নিউরোডেলেপম্যান্ট ডিজঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) আয়োজনে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শুরু হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার নাসিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপিএ’র এডভাইজর ও সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি এ টেইলর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও সম্মেলনের মূল বক্তা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে পুনর্বাসনসেবা সম্পর্কে বুঝতে হবে। মানুষের শারীরিক বিষয়গুলো, কথা বলা, হাতের ক্ষুদ্র কাজ ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে হবে। সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের জীবনের দৈনন্দিন কাজকে গতিশীল করতে হবে। তাদের নিজেদের কাজ, কর্মক্ষেত্রের কাজে সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের মানসিক অনুভূতির উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘এই সমাজের দায়িত্ব শুধু সরকার বা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নয়। এই দায়িত্ব আমাদের সবার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তার বক্তব্যে কলেজ অব ফিজিওথেরাপি’র জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে যে বস্তি রয়েছে (মহাখালীর সততলা বস্তি) সেটি উচ্ছেদ করে দ্রুত কলেজ প্রতিষ্ঠা, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট, প্রোস্থেটিস্ট ও অর্থোটিস্ট এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টদের জন্য কাউন্সিল গঠন করার আশ্বাস দেন।
সম্মেলনে সিআরপি-র প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি এ টেইলর বলেন, ‘১৯৬৯ সালে যখন আমি বাংলাদেশে আসি, আমার মনে হয় আমিই একমাত্র ফিজিওথেরাপিস্ট যে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এই সেবা দেওয়া শুরু করি। বর্তমানে এই পেশার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’
অধ্যাপক ডা. নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘সঠিক পূর্নবাসন চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজন সঠিক নীতিমালা, ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি হাসপাতালে পুনর্বাসন চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগ।’
শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিশ্বের ১২টি দেশের চিকিৎসা ও পূনর্বাসন পেশাজীবী ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। এ অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ থেরাপি ও রিহ্যবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৭” এর বাস্তবায়নের দাবিও তোলা হয়।
সারাবাংলা/জেএ/এমএ/আইজেকে
